আমি এক পাহাড়ি যুম্ম যুবক
হ্রদ পাহাড়ে ঘেরা আমার গ্রাম রাংগামাটি,
জুম্মু ক্ষেতের খামারী গন্ধ মেখে
মনটা আমার সোনার চেয়েও হয়েছে খাঁটি।  


বড় হয়েছি পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে
সেখান থেকেই চিনেছি দূরের সমতল ভূমি,
সাগরের জল আছড়ে পড়ে যেথা
গোল পাতার ঘরে সেথা বাস করো মেয়ে তুমি।  


আমার পাড়ার পাহাড়ি চূড়ায়
গাছের ছায়ায় উদাস দুপুরে একলা থাকি বসে,
মনের মেয়ে দূর সাগরের পাড়ে
তোমায় দেখি জলের সাথে উঠছ ভেসে ভেসে।


বসবাস করি পাহাড়ে আমি একা
ইচ্ছা করে তোমার কাছে যাই ছুটে সমতলে,
যেখানে আমার পাহাড়ি ঝর্ণা জল
পা ছুঁয়ে মিশে  তোমার নীল সাগরের জলে।


কেমন তুমি দেখতে তন্বী মেয়ে
মুখের আকাশ কি থাকে ভরে শুভ্র জোসনাতে,
গাংচিলের রাংগা ঠোঁটের মত
তোমার ঠোঁটের হাসিও কি থাকে মিষ্টি রস্মিতে।


পাহাড় যেমন সাগরকে ডাকে কাছে
তেমনি তোমায় ডাকি আমার কাছে ওগো মেয়ে,  
আলেয়ার মত হারিয়ে যাও যখন
ব্যাথার মাদল বাজে বুকে হিংস্র ঢেউয়ে ঢেউয়ে।


কবে তোমায় পাব মেয়ে আপন করে
কবে আমার রাংগামাটির ছোট্ট ঘরে জ্বলবে এসে,
আমি সেই অজানা প্রেমের বাতি ধরে
কাছে পেতে আমৃত্যু তোমায় যাব ভালোবেসে।


৩০ ডিসেন্বর, ২০১৯।