আসলে কি ছিল সেটা, গোধূলির রুপ?
আসলে কি ছিল সেটা, ষোড়শ যৌবন?
আসলে কি ছিল সেটা, অঢেল ঐশ্বর্য?
আসলে কি ছিল সেটা, লোভ লালসা?
আসলে কি ছিল সেটা, চরিতার্থের কাম ক্রোধ?
বার্ধক্যে কি এসব থাকতে আছে, নাকি থাকে, না- থাকা উচিত? আমরা তো তখন উভয়েই অনেক কিছুকে গত করে জীবনের সাড়ে তিন হাত দূরুত্বের পথ পাড়ি দিতে ব্যস্ত!


অথচ এখনও যখন কোন প্রকৃতির কাছে পাশাপাশি বসে থাকি দুজন, কোন কফি সপে মুখোমুখি বসে থাকি দুজন, কোন গান আর কবিতার আড্ডায় একত্রে ভূমিকা রাখি দুজন কিংবা সপিং মলে একত্রে হাঁটি দুজন দেখি সেখানে কেউ নেই। শুধু যেন তুমি আর আমি অথবা আমি আর তুমি। আমাদের ভূবণ কি এক অজানা আনন্দে আছে ভরে। কেন এমন হয়, কেন এমন হল?


কেননা এমন করে অতীতের দিকে চেয়ে থাকা বয়সে এই যে কাছে থাকতে চাওয়া, তাতে তোমার আমার মাঝে রুপ, যৌবন, ঐশ্বর্য, লোভ লালসা, কাম ক্রোধ এ সব আর কিছুই ধোপে টেকে না। তা সে নিন্দুকেরা যতই বেয়াড়া স্বাদের গল্প ফাঁদুক তোমার আমার নামে। যতই তারা স্বজাতীয় লুকানো ইচ্ছাগুলোকেই কারও অবয়বে লেপুক হাজারও কলংক!


বার্ধক্য জয় করে আগামীতে তোমার আমার এই যে  বেঁচে থাকা-
এযে সব স্বপ্ন আর ছোট ছোট চাওয়াতে মনের মিল আছে বলেই,
এযে অনেক হারানোর কষ্ট আর ক্ষনে ক্ষনে পাওয়া দুঃখের সাথে সমঝোতা হয় বলেই,
এযে সামান্য সৃজনশীলতাকে ব্যকুলতায় ভরে হারিয়ে যাওয়া যায় বলেই,
এযে অনেক অভাবের মাঝেও স্বার্থহীন এক ভালবাসা বুকে বাসা বাঁধে বলেই,
এযে আর কিছুই নয়, এযে অসীম থেকে পাঠানো তোমার আর আমার মাঝে এক বিলক্ষুনে অমর প্রেম!


সকালে অফিসের পথে,
বেড়ীবাঁধ - বিরুলিয়া,
১২ মে, ২০১৯।