অন্যমানুষ-এ শব্দের সাথে কেমন একটা অচেনা
অজানা পর পর সম্পর্কের বাঁধন এসে দাঁড়ায়।
কেমন ভিন্নতা খেলা করে। রক্তের ভেতরে শক্ত
সম্পর্কের আলুথালু নাচন নিস্তেজ পড়ে থাকে
শীতল আঁধারে। তাই পরকে কেউ কখনও আপন
ভাবেনা। বরং দেখি আপন জনই কেমন পর হয়ে
যাচ্ছে ইদানিং সম্পর্কের একটু টানাপোড়নে। কেমন
অন্যমানুষ হয়ে যাচ্ছে মূহুর্তে, বাড়ছে দূরত্ব,
বাড়ছে ভুল বুঝাবুঝি, বাড়ছে অদেখা সময়।


আজকাল আমি আমার নিজের কাছেই নিজেকে
কেমন পর পর ভাবতে শুরু করেছি। তাইত
প্রতিদিন সকালে ভাবছি আজ তোমাকে বলবই
কতটা মন জুড়ে তুমি আছ আমার জীবনে।
অথচ সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয় তবুও বলা হয় না
সে কথা। তাই কথারা বাসি হয়, মন বাসি হয়,
অনুভূতি বাসি হয় অথচ ভালবাসা বাসি হয় না।
তুমিও অন্য মানুষ হও না। তাই আবার মনের
মধ্যে তোমার সম্পর্ক নিয়ে সাঁতার কাটে আমার
আকুলিবিকুলি মন। খুঁজে বেড়ায় সপ্তপাকি সন্ধ্যায়
তোমাকে দুদণ্ড কাছে পেতে।


আমার জানা ছিল না রক্তের বাঁধন না থাকলেও
ভালবাসার মানুষ অন্য মানুষ হয়ে যায় কিনা,
জানা ছিল না কত বিশাল মন নিয়ে কত গভীর
ভালবাসায় ডুবে থাকলেও কারও আপন মানুষ
হওয়া যায় না, অথবা নিজেকে সকল আদলে গুঁজে
দিয়ে কাছে আসলেও কাছের মানুষ মানে আপন
মানুষ হওয়া যায় না। তাহলে রক্তই কি কেবল
আপন মানুষ হয়ার জন্য একমাত্র অনুষংগ? আর
সব সম্পর্কই অন্যমানুষ? আমি তা মানি না।
তাইত তোমাকে ভালবাসি কেবলই আপন মানুষ হতে,
অন্যমানুষ হতে নয়।