আজ একটা প্লট মনে পড়তেই ভাবছি আর ভাবছি।
আসলে প্লট ছাড়া যেমন ইমারত নির্মান হয় না,
তেমনই প্লট ছাড়া সাহিত্যও সৃষ্টি হয় না। এমনই
এক পুরাতন অথচ অত্যন্ত সংবেদনশীল  প্লট
'ভালোবাসা' নিয়ে সারাটা বিকেল কেটে গেল।
'ভালোবাসি' তামাম পৃথিবীর সর্বাধিক উচ্চারিত শব্দ।
এ শব্দটাও কাউকে ভালোবেসে বার বার উচ্চারণ করলে
এক সময় সেটাও যেন আর শুনতে ভালো লাগে না।


তাইত স্রস্টার ধ্যনের বাণীও কখনও সরব কখনও
নীরব এবং নিভৃত। আর বলতে গেলে নিভৃতের
প্রেমই বরং বেশী গভীর এবং শব্দদুষণহীন অলক্ষ্যে
একাগ্র দ্যোতনার। তাইত আশেকী মানবকূল নির্জনের
ধ্যানে নীরব অশ্রু ফেলে ভালোবাসার,
কষ্টের কিংবা কামনার।


যেমন শিশির নীরবে ঝরতেই যেন সে রাতকেই
নেয় বেছে, শিউলিও কোমল ভালোবাসায় নিজেকে
উজাড় করবে বলেই রাতের নীরবতাকেই সে বেশী
ভালোবাসে এবং নিঃশব্দে ঝরে পড়ে। ঝরে পড়তে
পড়তে সে বলে যায় এ এক নিভৃত অনুভবের
বিহবলতা তার। কারন কিছু কিছু শব্দ আর সম্পর্ককে
বার বার বলা থেকে বরং অনুভবে বুঝে নিয়েই
গোপনে ভালোবাসতে হয় যত্ন করে।


পক্ষান্তরে আষাঢ়ীয় বৃষ্টি ধারা বর্ষিত হয় সরবেই।
ফোটে কদম ফুল। সহসা ঝরেও পড়ে না সে।
কিন্তু তার ভালোবাসা কি কোমল? তার উলের শরীর
বলে দেয় কেমন গা ঝম ঝম করা করোনাসম!
দিন রাত কিছুই মানে না সে। আদর করা বৃষ্টির
গান যায় থেমে। অভিমান আর ভালোবাসায়
না ভেংগে খান খান হতে চায় হিংস্রতায়,
আর তার আবেগ হয় বজ্রসম আঘাত!


তাই ভালোবাসার শব্দ অনুক্ষন উচ্চারিত না হয়ে
বরং নিভৃতের অনুভবেই উচ্চারিত শব্দ হয়ত
বেশী আপন করে রাখে সম্পর্ককে আজীবন।
যেখানে নিরাকার প্রেমিক স্রস্টাও থাকেন
স্বস্তিতে ভালোবাসার নির্ভারতায়। 


০৩ জুলাই, ২০২০।