ওরে আহ্লাদী ভালবাসা, ওরে অনন্তের মরিচিকা প্রেম-    
তোকে  বন্দনার সকাল আর সন্ধ্যায় বেল –পাতার জলে
শুদ্ধ করে তবেই নিবেদন করেছি প্রিয়ার পদতলে।
তোকে কখনও ইরানীয় গোলাপ জল আর আরবীয়
আতরের গন্ধে ভিজিয়ে লুকিয়ে রেখেছি প্রিয়তমার নরম
বুকে। চেয়েছি আমার এ বুকেও যেন জন্ম নেয় প্রিয়ার
বুকে জন্ম নেয়া প্রেমের নদীর মোহনা।


তাই কেবলই কিছু আশ :    


- প্রিয়া যেন আমাকে ঠাঁই দেয় তার চুলের গভীরে।
  যেখানে আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘ খায় দোল,
- ঠাঁই যেন দেয় তার গোলাবি মসৃণ শৈল্পিক গ্রীবায়।
  যেখানে সুখের অশ্রু দোল খায় সমুদ্রসম ভালবাসার
  উত্তাল ঢেউয়ে,
- ঠাঁই যেন পাই লালায় ভেজা তার কমলা রাংগা ঠোঁটে।
  যেখানে কামনার রসে শিহরিত হয় রাত জাগা পালংক,
- প্রিয়া যেন আমাকে ঠাঁই দেয় তার মৃগমায়া দৃষ্টির মাঝে।
  যেখানে আমাকে ভাললাগা আর কাছে পাওয়ার বাসনা
  থাকে তার আমৃত্যু,
- ঠাঁই যেন পাই তার শরীরীয় মুগ্ধ সুবাসের তন্দ্রায়িত কূলে।
  যেখানে আমি বুঁদ হয়ে থাকব বার্ধক্য উপেক্ষিত শরীর
  আর মন নিয়ে সারা দিনমান তার বন্দনাতে।


আমার জীবন যৌবন চাঁদের থালায় এক করে হলেও  
আমি আমার বার্ধক্যেও হব তার কামনার নিভৃত পল্লী,  
যেখানে আলো আঁধারীর খেলায় প্রজাপতি উড়ে এসে
বসবে গায়, শুধু একটি বার নয়- শত কোটি হাজারবার  
ভেসে যেতে আজীবন আরাধ্যের যৌবন জোয়ারে।


২৩ অক্টোবর, ২০১৯।