মাঝে মাঝে মনে হয়
ঘরময় ছোঁড়াছুড়ি করা ঝগড়া করি  
তোমার সাথে।
তারপর যেদিকে চোখ যায় সেদিকে চলে যাই
অভিমান না ভাংগা
একটা জটিল সম্পর্ক তৈরি করে।
দূর মানে অনেক দূর , অনেক অনেক দূর।
যেখানে কেউ জানবে না কোনদিন- আমি কে,  
কি আমার পরিচয়।  


প্রশ্ন আর পালটা প্রশ্নের উত্তর আর
প্রতিউত্তরে যখন আদরের  ঊষ্ণতায়
মনে দাগ কাটে না,
তখন অনেক অসহ্য কষ্টে
কখনও কখনও মনে হয়-  
আজকের রাতটা একাকিত্বেই হোক
দোঁহার বিছানা উপেক্ষিত,
হোক পৃষ্ঠ দেখানো শুয়া- শুয়ি!
নয়ত অন্য ঘর, ভিন্ন বিছানা।


অঝোরে কান্না আসে,
রাতের বুকে মাথা লুকিয়ে চাঁদকেও বলি লুকাতে।
তার চেয়ে আরও বলি
উধাও হয়ে যায় না কেন সে রাতের আকাশ থেকে?  
আমি যে অদেখা কাঁদতে চাই ।
আর রাতকে বলি সে যেন সকাল হয় এক্ষুনি!
যাতে করে আমি ভেতরে অতৃপ্তির আগুনে সৃষ্ট
উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতে
অজান্তে অজানা রাজ্যে পাড়ি দিই
সব কিছু ছিঁড়ে ছুঁড়ে দিয়ে।  


কিন্তু রাত তো আর শেষ হয় না।  
কি জানি রাতও বোধ করি বুঝে,  
প্রেম আর ভালবাসার কুরুক্ষেত্র এমনই হয়।
এই কুরুক্ষেত্রের অব্যক্ত আংগিনা জুড়ে থাকে-
এই রোদ, তো এই মেঘ,
এই বৃষ্টি, তো এই খরা,
এই কুয়াসা তো এই শিশির।  
আঁধার কেটে যাওয়া আবার সূর্যের হাসি,
রোদ ঝলমলে দিন, আবার সুখের রাতি।  
আবার আগামী স্বপ্ন,
সংসার, সন্তান, সম্মান এবং ভুলে যাওয়া
গতকাল।  


তাই রাত যেন আর কিছুতেই চায় না ভোর হতে।  
তাতেই বিপত্তি ঘটে নতুন রাজ্য দেখার,
অনেক দূরের পথে হারিয়ে যাওয়ার।  
কপোলে কষ্টের জল শুকিয়ে মরে
সে সাথে শুকিয়ে মরে বিরহ উত্তেজনা।
অনেক ঢিলে ঢালা সকাল যখন আসে
তখন চেয়ে দেখি কি এক মায়ায়-
অজান্তেই এ দগ্ধ মনে বয় ফাগুন হাওয়া,
খুঁজে ফেরে ছেড়ে দেয়া হাত,
ছেড়ে দেয়া বিছানা। তখন
ঘরময় ছোঁড়াছুড়ি করা অসভ্য ঝগড়া
মিলনের সংগীত হয়ে বুকে বাজে ।