তাল গাছ নিয়ে কত কথাই তো লিখা হয়েছে বা লিখছি।  
একই তাল গাছ অথচ কত বর্ণনায় সাহিত্যের পাতায় থাকে সে।
না বাঁধুক বাবুই পাখি  সে তাল গাছে বাসা,
না হোক  সে তাল পাতায় তালের পাখা ,
অথবা না হোক সে তালের রসে ভাদ্র মাসি পিঠা।
তাইত আজও তাল গাছটা আমার বললে বুঝেই নিতে হয় ওর সাথে আর চুক্তি
বা যুক্তি বিদ্যা করে কোন লাভ নেই।
ও বুঝে না ন্যায্য দাবী অথবা ভালবাসা কাকে বলে!
কাকে বলে মরমীয়া প্রেমে স্বপ্নলোকের কথা।  


মানুষের চোখও তো সেই একই জায়গায় ঠিক কপালের নীচে।
চোখের পাতায় থাকে দৃষ্টির নাচন আলো  আঁধারীর খেলা।
সেই চোখ নিয়ে তো হাজার বছর ধরে
কত কাব্য,
কত গল্প,
কত গান,
কত বর্ণনা।
কিন্তু তাতে কি চোখের জ্বালাতন কমেছে?
বরং কাঁদলে চোখে জলই ঝরে,
বেদনার জল,
কষ্টের জল,
হারানোর জল।
বুক ফাটা আহাজারীর জল!  
আর সে জলের ভাষা যদি না বুঝে কেউ তাহলে
তার সাথে বেদাগী প্রেমের আশা করা আকুলতা মাত্র।


দেহের খাঁচা নিয়ে আমৃত্যু কত আয়োজন।
কেননা এ খাঁচায় যে জীবন পাখি বসবাস করে।
বুকের ঠিক একটু গভীরে নাকি এর বসবাস।
সে পাখিকে সোনার খাঁচা বানিয়ে দুধ কলায় সকাল সন্ধ্যা রাত্রি
কত আদর যত্ন,  
তাকে নিয়ে কত সাধনা,
কত বন্দনা,
কত আরাধনা।
পাখি যেন পোষ মানে। খাঁচা ছেড়ে উড়াল না দেয় নিঃসীম আকাশে।  
তারপরও কি পাখি কথা শোনে? সে পাখি পোষ মানে?
তাইত আজও দেহ, মন, প্রান, ভালবাসা আর প্রেমের সুখ পাখি
আবদ্ধ হয়ে রয়ে গেল প্রণতির বিজন প্রকোষ্ঠে!
  
২১ এপ্রিল, ২০১৯।