জোড়া শালিকের একটি উড়ে গেলে
আর একটি উড়ে যাবেই, আধার যতই থাকুক
যত্রতত্র পড়ে।
এটা স্বভাবজাত।
শরীর সম্পর্কিত প্রতিদিন প্রাতঃকালীন
পদক্ষেপে একটা গুঁই সাপের সাথে
প্রায় দেখা হয় আমার। রাস্তার নীচু কাঁধে
ঝোপের মধ্যে তার বসবাস।
গুঁই সাপ মাটির কোঠরেই থাকবে।
বাইরে যতই থাকুক খোলা মাঠ। এটাই
স্বাভাবিক এবং এটা স্বভাবজাত।  


বিশ্বব্রম্মান্ডের সকল জীবের মধ্যে
প্রশংসায় খুশি হয় কেবল মাত্র দুই জন।
একটির আকার আছে আর একটি নিরাকার।
যার আকার আছে সে জীবটি হল মানুষ।
আর যার আকার নেই সে নিরাকার স্রষ্টা।
নিরাকার স্রষ্টাকে কি জীব বলা যায়?
কে জানে!
যা হোক প্রশংসায় এই দুই পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি
এবং স্রষ্টা ভেসে ভেসে যায় অন্তহীন খুশিতে
যার একটা স্বভাব্জাত আর একটা প্রাকৃত।
তবুও কি তা স্বভাব্জাত নয়(!)


তাই আমাকে কেউ প্রশংসা করলে
আমিও আহ্লাদে ভেসে ভেসে যাব,
আমি হাসব, আমি আনন্দিত হব,
আমি আরও চাইব সে যেই হোক সে যেন
সব সময় আমাকে এ ভাবেই প্রসংসা করে।
এটা নিতান্তই স্বভাবজাত।
অথচ এতে তোমার আপত্তি, তোমার ঈর্ষা,
তোমার গা জ্বলা, তোমার মন পুড়া,
তোমার আশংকা!
ভাবো তোমার ভালবাসা ভাগ হয়ে গেল কিনা,
তোমার ভালবাসার মানুষ হারিয়ে গেল কিনা,
তোমার প্রেম বিপন্ন হল কিনা!


এ ভাবে ভালবাসলে কি ভালবাসা টেকে,
এ ভাবে সন্দেহের দানা বেঁধে রাখলে কি
ভালবাসারা হয় আপন?
এ ভাবে ভালবাসার আশংকায় থাকলে
ভালবাসা কি নিরাপদ হয়?
নাকি জোর করে ভালবাসাকে টেকানো যায়!
বরং দূরত্ব বাড়ে অজান্তে দিনের পর দিন।
তাই ভালবাসা হোক স্বভাবজাত,
ভালবাসা হোক জবাবদিহিতার ঊর্ধ্যে,
ভালবাসা হোক মুক্ত স্বাধীন।
তাতে না লাগুগ পাহাড়ের বোবা ভার,
না লাগুক সাগরের নোনা জলের কষ্ট,
না লাগুক রাত্রির নির্জনতার অসুখ।
ভালবাসা হোক স্রষ্টার মত।
  
০৪ মে, ২০১৯ ।