*                #আমার ছেলেবেলা#
                    অজিত কুমার কর


      গাঁয়ে এখন যায় না শোনা হুক্কা-হুয়া ডাক
    শালিখ চড়াই হারিয়ে গেছে নিরুদ্দেশে কাক।
ধানের চাটাই রৌদ্রে মেলা তুলবে ঘরে পড়লে বেলা
    ধনুক হাতে কাক তাড়াতাম নিখুঁত ছিল তাক
    এদিক-ওদিক ধান ছড়াত এলে পাখির ঝাঁক।


         গোয়ালভরা গরু ছিল ব্যস্ততা দিনভর
    জাবান দেওয়ার গামলা ছিল ভুষি রাখার ঘর।  
ন্যাতা দেওয়ার ছিল রেওয়াজ ঘরে-বাইরে কতনা কাজ
         মায়ের সাথে ঘুঁটে দিতাম সদাই অনুচর
      পরখ করে বলতো ডেকে ধানের চাটাই ধর।


      মুড়ি ভাজার কত হ্যাপা নাড়তে হতো চাল
    হাত লাগাতাম আমি তখন উনুনে মা'র জ্বাল।
  শক্তি লাগে প্রথমে বেশ ঘেমে নেয়ে কষ্ট অশেষ
     ভাজাভুজি সবটা মায়ের উত্তাপে গাল লাল
     ভরে দিতাম কৌটাতে সব হইনি বেসামাল।


    গাঁয়ে এখন বলদ কোথায়, মেশিনে হয় চাষ
       চষা মাঠে, জমা জলে পচতো যত ঘাস।
ধান রুয়েছি বাবার সাথে পাট কেচেছি নিজের হাতে
     রৌদ্রে মিলে শুকনো করা কোথায় অবকাশ
  পড়ার সাথে চাষের কাজও চলতো বারো মাস।