মা ছাড়া দিন ছন্দবিহীন সব কাজে চাই মাকে
তা না হলে মনের কথা বলবো আমি কাকে ?
পাঁচ বছরের বড় দিদি তার যে অনেক পড়া
গল্প যদি বলতে বলি শোনায় কেবল ছড়া।


মা কখনো না বলে না, হয়তো বলে পরে
সারাটা দিন একার হাতে হাজারো কাজ করে।
ঘামাচিতে গা জ্বলে যায় চুলকে দিতে বলে
ডাকা মাত্র খেলনা ফেলে তক্ষুনি যাই চলে।


চুলকে দিলে আরাম লাগে তার পরে দেয় হামি
তখন ভেজা আঁচল দিয়ে দুচোখ ঢাকি আমি।
মায়ের কোলে মাথা রেখে একটু শুয়ে পড়ি
এখন কি বাপ সময় আছে চলছে ছুটে ঘড়ি।


তবুও হয় গল্প শুরু শুনতে দারুণ লাগে
সোনার কাঠির ছোঁয়া পেয়ে রাজকুমারী জাগে।
রাজকুমারের আনন্দ খুব ঘোড়ার পিঠে চড়ে
লাগাম টেনে টগবগিয়ে পৌঁছে নসিমগড়ে।


যা শিখেছি সব কিছু তো মায়ের কাছে শেখা
অ-আ-ক-খ, কর খল, এ-বি-সি-ডি লেখা।
পা ধুতে দিই এক ঘটি জল বয়স্ক কেউ এলে
এটাই নাকি গাঁয়ের রীতি প্রশংসা খুব মেলে।


যখন একটু বড় হলাম লাগি অনেক কাজে
মা তখনই বলবে হেসে জানিস কয়টা বাজে?
স্নান করে নে খেয়েদেয়ে ইস্কুলে তুই যাবি
ছাড়তে হবে আজকে থেকে সঙ্গে নেবার দাবি।