হিমশৈলের শীর্ষ দেখে শিউরে ওঠার কী বা  আছে
ভিতর যদি দেখতে পেতে উঠতো ও’চোখ খেজুর গাছে।
‘আমিও’-র বাণ দেখছো ক’টা ঘুমোয় নির্যাতিতার তূণে
হৃদয় জুড়ে বিষম জ্বালা কুরে কুরে খাচ্ছে ঘুণে।


কেবল কিছু মলিন পাতা তারাই ওদের মুখোশ খোলে
সবুজ পাতার সংখ্যা অযুত দহন জ্বালায় যাচ্ছে জ্বলে।
সকল স্তরেই খাদক আছে, উচ্চ পদে আসীন যারা
পাহারা দেয় সান্ত্রী তাদের রঙিন নেশায় মত্ত তারা।


বয়স যাদের অল্প এখন তাদের মুখে কুলুপ আঁটা
জীবন দুর্বিসহ হবে ক’রলে প্রকাশ কোথায় কাঁটা।
একশো তিরিশ কোটির দেশে ক’জন মাত্র তুলছে গলা
তাতেই ত্রাহি মধুসূদন নিত্যদিনই চলছে শলা।


সবার গায়ে সফেদ জামা কেমনে বুঝি কারা ভালো
এমন যন্ত্র থাকত যদি জানিয়ে দিত কোথায় কালো।
কোন পথে যে আসবে বিপদ টের পাবে না পুষ্প শারি
অবিশ্বাসের বাতাবরণ দিনে দিনে হচ্ছে ভারী।