ভূতের গল্প ঢের শুনেছি ঠাম্মা-দাদুর কাছে
নৃত্য করে জ্যোৎস্নারাতে শ্যাওড়া-হিজল গাছে।
যখন এসব গল্প শুনি গা-টি ঘেঁসেই থাকি
মাঝে মাঝে আঁচল দিয়ে চক্ষু দুটি ঢাকি।


স্কুল থেকে ঘর অনেকটা পথ লাগে মিনিট বারো
মা-বাবা কেউ এলেই ফিরি সঙ্গে যাই না কারও।
ছুটির ঘণ্টা যেই পড়েছে গেটের কাছে দেখি
দাদু আমার দাঁড়িয়ে আছে অবাক কাণ্ড একী!


‘তোমার তো খুব শরীর খারাপ কেমন করে এলে
বাবা তো রোজ এগিয়ে আসে সমস্ত কাজ ফেলে।'
পাশাপাশি হাঁটছি দুজন ব্যাগটা আমার পিঠে
আমায় একটা লজেন্স দিল মধুর মতো মিঠে।


ঘরের কাছে পৌঁছে দেখি কাঁদছে মা ও বাবা
কেন ওরা কাঁদছে অমন দেখেই আমি হাবা।
‘কেমন করে ফিরলি একা’ শুধায় আমায় ডেকে
‘ দাদুর দশা এখন-তখন দুপুর দুটো থেকে।‘


‘একা তো নয় দাদুই ছিল বলছি না মা মিছে
লজেন্স দিল খেলাম আমি হাঁটছিল তো পিছে।
‘দাদু কি আর আছে রে বাপ এখন পরপারে
শুনেই আমি শিউরে উঠি ভূতরা কি সব পারে!


‘আমায় বেশি ভালোবাসো অন্য সবার চেয়ে
বুঝিয়ে দিলে বিদায়বেলা ধন্য তোমায় পেয়ে।
মনে আমার রং ধরিয়ে কোথায় চলে গেলে
কেমন করে পারলে যেতে আমায় একা ফেলে?