নিরুদ্দেশ-যাত্রা
অজিত কুমার কর


ঠিকানা জানি না তবুও চলেছি রোদ্দুর সম্বল
সঙ্গে যে আছে, সে আমার ছায়া সেও দেখি চঞ্চল।
কিছুই না জেনে যাচ্ছি না আমি রয়েছে শাল পিয়াল
দিঘিটার পাড়ে, আর আছে এক মন্দির, মহাকাল।


পা চালাই দ্রুত আলপথ ধরে ঘেমে গেল বিশ্রাম
সন্ধের আগে না পৌঁছালেই ব্যর্থ মনস্কাম।
জানি না আমার কী আছে কপালে তবুও এগিয়ে যাই
কে যেন জানায় হোসনে হতাশ শুনে মনে হল পাই।


রাস্তা যেখানে ত্রিমুখী হয়েছে যাবি তুই সোজাসুজি
তারপর পাবি উঁচু এক ঢিবি, সহায়তা পেয়ে খুঁজি।
ওইতো অদূরে গগনচুম্বী মন্দিরের ত্রিশূল
নির্দেশনায় পটু ঈশ্বর একেবারে নির্ভুল।


উঁচু উঁচু গাছ সব ফুলে ভরা স্বর্গীয় পরিবেশ
বুনোজুঁই-ভাঁট-হাসনুহানায় বিলীন আমার ক্লেশ।
ভরা সরোবর টলটল জল পদ্ম ফুটেছে কত
প্রজাপতি অলি মৌমাছিদের গুঞ্জন অবিরত।


ক্লান্ত শরীর ভিজিয়ে নিলাম ধুতুরা পেলাম পাড়ে
শ্বেত আকন্দ দেখতে পেলাম একটা ঝোপের আড়ে।
আকাশের রং জলের ওপরে সূর্য অস্তাচলে
দ্বার ছিল খোলা বিজন দেউল যেন মাণিক্য জ্বলে।


© অজিত কুমার কর