কে ওখানে, হাসছো কেন, মারবো ছুঁড়ে ঢিল
থামছো না যে, আবার হাসি, মারবো এবার কিল।
ঠাহর হয় না আবছা আলো, লম্বা লম্বা হাত
পরনে নেই জামাকাপড়, ভূতপ্রেত নির্ঘাত।


কী করে যে ফিরব বাড়ি কাঁপছি এবার বেশ
আসছে না তো কেউ এ পথে, আজকে বুঝি শেষ।
হঠাৎ দেখি হাসছে না আর, এক্কেবারে চুপ।
তবু আমার ভয় কাটে না, গন্ধ বিলায় ধূপ।


পথের পাশে জ্বলছে চিতা, ওখানে নেই কেউ
টাটকা ভূতের কান্ড এসব, উঠলো ডেকে ফেউ।
যখন আমি যাই সকালে, ঝলমলে বেশ রোদ
যার হাতে ওর মৃত্যু হ’লো, নেবেই প্রতিশোধ।


ভূত তো মোটেও ভুল করে না, কেন এমন ভুল!
চোখ নেই তো, দেখবে কী সে, কে হেনেছে শূল।
এসব যখন ভাবছি আমি এলো চৌকিদার
হাতে লন্ঠন, বাঁশের লাঠি, আতঙ্ক নেই আর।


ভূতের কথা যেই বলেছি, শুনেই উড়াপাক
বুঝতে কি আর বাকি আছে, ওসব কথা থাক।
ঘাম দিয়ে জ্বর কাটল যেন রুদ্ধ গলার স্বর
কাকুর দেখা না পেলে আজ, শ্মশান হ’তো ঘর।