* ভূত হলো না জব্দ
অজিত কুমার কর
যতই নাড়াও গাছের শাখা ভয় করি না আর
চোদ্দো রকম শাক দিয়ে আজ সেরেছি আহার।
শাক-ধোয়া জল ছিটিয়েছি চোদ্দোখানা টিপ দিয়েছি
গণ্ডি কাটা ত্রিসীমানায়, দাঁতখিঁচানি সার!
'উঠোনে জল ছিটিয়েছিস ঘরের ভিতর নয়
জানলা দিয়ে ক'রবো প্রবেশ দেখলে পাবি ভয়।
একা তো নয় গিন্নি সাথে ধারালো নখ ওর দুহাতে
খামচালে ঠিক টেরটি পাবি, কে বাঁচে কে রয়!
বাঁচার একটা উপায় আছে, বাতলে দিচ্ছি পথ
করবি জোগাড় আজকে রাতে ভোলার মিষ্টি রথ।
মুড়কি আনবি ধামাভরা জমাটবাঁধা দই দু'সরা
পৌঁছে যাব নিশুত রাতে, দেখবি দুটো মথ।
ঢোকার পরেই পাল্টাবো ভোল তখন মানব রূপ
যেমন ছিলাম ইহকালে, রইবি কিন্তু চুপ।
রাখবি দুটো আসন পেতে বসে দুজন লাগবো খেতে
কোনো বাতি জ্বালাবি না, আর সুগন্ধি ধূপ।'