*                  বিবর্ণ শরৎ
                অজিত কুমার কর


পড়লো না চোখে শরতের মেঘ কালোদের দাপাদাপি
ম্যাড়মেড়ে লাগে এমন শরৎ এ ব্যথা কেমনে চাপি।
প্রকৃতির মুখ কেন এত ভার ভেবে ভেবে দিশাহারা
আষাঢ় শ্রাবণে বৃষ্টি ছিল না এখন অঝোর ধারা।


শাপলা-ঝিলের অপরূপ রূপ নেই কোনো কৃপণতা
নানান রঙের প্রজাপতি ওড়ে অনাবিল স্বাধীনতা।
তরুণ তপন ঢাকা পড়ে মেঘে তার দুর্দশা এ কী!
আলোর অভাবে শিশির ফোঁটার বিবর্ণ রূপ দেখি।


কৈলাস থেকে বার্তা এসেছে পেয়েছে কমলকলি
মৌমাছি ছিল খুব কাছাকাছি, শুনেছে বিহগ অলি।
এ বারতা গেল শেফালীর কাছে শুনে খুব পুলকিত
সুবাস ছড়িয়ে ভরাবে ভুবন যদিও তা পরিমিত।


নীলকণ্ঠের আগমন ঘটে খবরের ঝাঁপি নিয়ে
ফের মিশে যায় নীলের ভিতরে সবটুকু সঁপে দিয়ে।
ভেসে আসে মা'র নূপুরের ধ্বনি বেজে উঠে আগমনী
দুঃখ ঘোচাতে মা'র আগমন খুশি দিবস-রজনি।