ক’দিন পরে বিদায়ী শো
সফর হবে শেষ
সবাই যেন আপন জন
যেন নিজর দেশ।


সীতাহরণ করব পেশ
বিরাট আয়োজন
উপস্থিত কত মানুষ
গুণী বিদ্বজ্জন।


রাবণ রাজা ছদ্মবেশে
স্বর্ণমৃগ সেজে
সীতাদেবীর সমুখ দিয়ে
দৌড়ে গেল তেজে।


“কী সুন্দর স্বর্ণমৃগ!
দাওনা ওগো ধরে”
রামচন্দ্র পিছু নিলেন
রইলো সীতা ঘরে।


কোথায় পাবে স্বর্ণমৃগ
পালিয়ে গেছে দূরে
পথ হা্রাল রামচন্দ্র
গভীর বনে ঘুরে।


উৎকণ্ঠা বেড়েই চলে
রামের ফেরা নিয়ে
দেবর গেল দাদার খোঁজে
গণ্ডি টেনে দিয়ে।


ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে
রাবণ আসে ফিরে
এসেই বলে ‘ভিক্ষা দাও’
শান্ত হয়ে ধীরে।


বাধ্য হয়ে বেরিয়ে আসে
গণ্ডিটুকু ছেড়ে
স্বরূপ ধরে রাবণ রাজা
হস্তে ধরে তেড়ে।


উড়ল রথ, কাঁদছে সীতা
কী ভুলই না হলো
রাবণ বলে ‘কাঁদছ কেন
এখন লঙ্কা চলো।’


পথ আটকাল বীর জটায়ু
‘সীতাকে দাও ছেড়ে’
খড়্গ দিয়ে কাটল ডানা
জীবন নিল কেড়ে।


রোদনরতা জনমদুখি
ফেলে অলঙ্কার
বানর রাজা কুড়িয়ে পেল
গয়না সীতা মা’র।


অশোক বনে আটক সীতা
দুঃখে কাটে দিন
গণ্ডি থেকে বেরনো তাঁর
হয়নি সমীচীন।


বিমান যখন প্রাতঃকালে
দেশের মাটি ছুঁল
দাঁড়িয়ে ছিল গুনগ্রাহী
হস্তে মালা ফুলও।


সফর শেষে ফিরে এসে
তৃপ্তি বড় মনে
এবার হবে পাঠের শুরু
একান্তে নির্জনে।

স্নাতকোত্তর দু'বছর
কঠোর পরিশ্রম
একটুকুও আলস্য নেই
চর্চা পুরোদম।


অনুষ্ঠান তো লেগেই থাকে
সামলাতে হয় সব
জীবন যেন নাট্যশালা
আনন্দ উৎসব।


হাসি ফুটুক সবার মুখে
আর কিছু না চাই
সবার হাসি আমার খুশি
বড় তৃপ্তি পাই।


(রুচিরার উপাখ্যান আপাতত স্থগিত রাখছি। তিন মাস ভ্রমণ
শেষে এবার দেশে ফিরবে। উনপঞ্চাশ-এ থামার জন্য মাফ চেয়ে নিচ্ছি। সকলের শুভ হোক, এই কামনা করি।)