কই রে খুকু কোথায় গেলি খেলে খেলে এইতো এলি
বোসনা কাছে শোনাই তোকে ভূতের গল্প জানি।
কাল বিকেলে যে পথ দিয়ে ঘর ফিরেছি বাজার নিয়ে
পড়ল চোখে যোগিনী ভূত করছে গরম পানি।
দেখতে পেয়ে ডাকল কাছে সুগন্ধি চা’র পাতা আছে
চক্ষুকে তার এড়ানো ভার জাগল মনে ভয়,
শুধু কী চা সাথে বিস্কুট শক্ত বড় ভাজা ডালমুট
ইশারাতে বলল সবই একটাও কথা নয়।
শুকনো ডালের মাচা আছে পেঁচক বসে চালতা গাছে
খাচ্ছে বসে আয়েস করে বিরক্তি নেই মুখে,
যাবি তো চল যাই দুজনে ঝিলের পাড়ে হিজল বনে
দেখবি গিয়ে কেমন করে খাচ্ছে পরম সুখে।
শুনেই ভয়ে দিচ্ছে কাঁটা কেঁপে কেঁপে উঠছে গা-টা
গেলেই আমি মূর্ছা যাব এটাই বুঝি চাও?
মা’র বানানো খাবার খেয়ে বেড়াই কেমন নেচে গেয়ে
ভূতের বাড়ি চা খাওয়াতে কী সুখ তুমি পাও!
আজগুবি সব গল্প বলো শুনেই চক্ষু ছলোছলো
ইচ্ছে হলে একাকী যাও রইবো আমি ঘরে।
লাগত ভালো সঙ্গী পেলে কী করে যাই তুই না গেলে
দুজন হলে সাহস পেতাম যেতাম তোকে ধরে।
চল তাহলে রান্নাঘরে আয়-না পিছে হাতটা ধরে
মা ওখানে ভাজছে লুচি জানিস না তুই তা কি?
হ্যারিকেনটা কে নিভালো জলদি একটা লম্ফ জ্বালো
নাকি সুরে ঠিক তখনই উঠল কী এক ডাকি!
ঝাপটা একটা বাতাস এল হুশ করে কী চলে গেল
ভয়ে আমি মুখটা গুঁজি বাবার দু’পা ধরে,
ক্ষণেক পরে জ্বলল আলো মুছে গেল সাঁঝের কালো
তবুও ভয় কখন কী হয় ঢুকি রান্নাঘরে।