খোকা কোথায়, দেখছি না তো, সাড়াশব্দ নেইকো ঘরে
‘একটু আগে বলল আমায়, যাচ্ছি মা গো নদীর চরে।’
নদীর চরে! এখন কেন, যদিও বেশ সাঁতার জানে
বিকেল হলেই রয় না ঘরে, যায় ওখানে কীসের টানে!


সন্ধ্যাবেলা ফিরলে ঘরে বাবা তখন শুধায় তারে
একা একা যাস কেন রে, কী খেলিস ওই নদীর পারে?
না বাবা না, যাই না কোথাও বালির ওপর চিত্র আঁকি
আঁকার খাতা নেইকো আমার অলস হয়ে কেমনে থাকি।


মন যেটা চায় সেটাই আঁকি চরের ওপর ফুটে ওঠে
যে সব মানুষ বেড়াতে যায় দেখার জন্য এসে জোটে।
কখনও বা মূর্তি গড়ি অনেক সময় তখন লাগে
ধীরে ধীরে বাড়ির পথে সূর্য তখন অস্তরাগে।


খোকার কথা শুনে বাবার দুচোখ বেয়ে জলের ধারা
সামনে দেবী শুধায় তারে কী করি আজ বল মা তারা।
রিকশাতে কেউ চড়ে না আর ভাড়া বেশি শ্লথ গতি
রিকশা ছেড়ে টোটোয় চড়ে দ্রুত ছোটে ফ্যান্সি অতি।


দিনের শেষে পকেট ফাঁকা ঘরে ফিরি শূন্য হাতে
গৃহিণী সব বুঝতে পারে উপোষ চলে সেদিন রাতে।