বসন্তের অন্তিম প্রহর
থোকা থোকা প্রস্ফুটিত ফুল।
জয়াকুঞ্জে মাধবীলতায়
দোল খায় মৃদুমন্দ বায়
অরুণ কিরণে উদ্ভাসিত
পাশে ওর চঞ্চলা পারুল।
জবা কলাবতী আছে কত
বর্ণগুণে রূপসি অতুল।


এসো তুমি আমার কুটিরে
ওগো প্রিয় নন্দের নন্দন।
পত্রপুষ্পে সাজাবো যতনে
প্রতীক্ষায় নিভৃতে নির্জনে
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করো আজি
ভালে দেবো তুলসি চন্দন।
সাজি ভরে তুলেছি যে ফুল
পাবে নাকি তোমার চরণ।


কোকিলের কুহু কুহু গান
বাতাসে তা দূর হতে আসে।
আঁখি দুটি রাখি বাতায়নে
বিচলিত ভ্রমর গুঞ্জনে
তোমার অজানা নয় কিছু
দেখা দাও এসে মধুমাসে।
ছড়িয়েছি কত ফুলদল
গালিচায় উঠোনের ঘাসে।


কোথায় রেখেছ তবে বাঁশি
ফুঁ দিলে তো আপনি সে বাজে।
সুর শুনে বুঝে যাবো আমি
তা তো জানো ওগো অন্তর্যামী
সুবিশাল ধরণির বুকে
কে কখন কোথায় বিরাজে।
উঁকি দেয় পলাশ শিমুল
তাই দেখে মরি আমি লাজে।