চরণচিহ্ন যেয়ো এঁকে


কাজল মেঘের চলে আনাগোনা
ঘনাল অন্ধকার
আষাঢ়ের শুরু রাত্রি হয়েছে পার।
কদমের শাখে ফুটে আছে ফুল
তলাতেও একাকার
এক জোড়া ফুল পাড়ব কীভাবে
এখন যে দরকার
হাতের আঁকশি পেল না নাগাল তার।


অপলকে চেয়ে আকাশের পানে
চিন্তার ভাঁজ ভালে
রূপসি কদম দোল খায় ডালে ডালে।
জবা-বেল-জুঁই-টগর রয়েছে
বাগানে গোলাপ নেই
তাই দিয়ে আমি গুনগুন করে
মালা গাঁথি সাদরেই
সময় হয়েছে এবার সে আসবেই।


পাইনি কদম সুবাস দিয়েছে
বাতাস ঠান্ডা ভারী
দীপ জ্বালি সারি সারি।
দীনের কুটিরে আজকে তোমার
প্রথম পদার্পণ
দেখাল না মুখ লুকালো আড়ালে
জ্যোতিষ্মান তপন
দেখা পাবো তাই শিহরিত তনুমন।


চাঁপাও আমাকে বিমুখ করেছে
দিল না একটি ফুল
বৃষ্টিতে ভেজা ওর সুবাস অতুল।
ওই শোনা যায় নূপুরের ধ্বনি
এসো হে রাজাধিরাজ
হাতের বাঁশিটি নীরব রয়েছে
এ কী অপরূপ সাজ
আয়োজন আজ অতীব তুচ্ছ
এটুকু পেরেছি আজ।
_________________
শুধুই গোধূলি


প্রিয়ার ভাগে দিন-রজনি
আমার শুধু গোধূলি
ওটুক পেয়েই তুষ্ট আমি
নদীর বুকে ঢেউ তুলি।


ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসে
রুমুরঝুমুর কিঙ্কিণি
সালঙ্কারা নৃত্যরতা
তোমায় আমি খুব চিনি।


বরাদ্দ তো ঘন্টাখানেক
ওটুকু তো আমার ক্ষণ
তাতেও তুমি ভাগ বসালে
পূর্ণ কর ভাবুক মন।


চাইলে সবই দিতে পারি
রাখুক ঘিরে শূন্যতা
বিলিয়ে দিতে তৈরি আমি
ওতেই পাব পূর্ণতা।


##অজিত কুমার কর