চৈতি দুপুর ও নিদ্রা বিহীন খুকু


ভাবছো বুঝি পড়বে কেটে মাকে ফাঁকি দিয়ে
বকুনিটা রইবে জমা গেলেই না জানিয়ে।
মা বলেছে ছবি আঁকো সামনে সাদা খাতা
বলছি যেমন তেমন আঁক আমিই পরিত্রাতা।
তুমি কোথায় দেখছি নাতো এসো জানলা-পাশে
তুলি নিয়ে তৈরি আছি সূর্য তো আকাশে।


আমি আছি ঘরের ভিতর, পুকুর-ডোবায় মাঠে
আমার নজর সবার দিকে যারা এ তল্লাটে।
বাহিরপানে তাকাও এবার ঝুমকোলতার বনে
গঙ্গাফড়িং ফুলের সাথে বলছে সে একমনে
মনের যত গোপন কথা, অমনি গেল উড়ে
ভাবছো তুমি কোথায় গেল কান্ড অদ্ভুতুড়ে!


ধাওয়া তুমি করতে পারো চড়ে পক্ষীরাজে
নাগাল তুমি পাবেই পাবে ব্যস্ত সে কোন কাজে।
মাঠ ময়দান খাঁ-খাঁ এখন পাখি পাতার আড়ে
ওদের কার্যকলাপ জানতে ঢুকি বনবাদাড়ে।
বনবাদাড়ে যেতে গেলে আগেই পড়ে নদী
নৌকা সাঁকো লাগত না আর বেলুন থাকত যদি।


আমি দুপূর তোমার সাথি থাকি তাদের সাথে
যাদের চোখে ঘুম আসে না দুষ্টুমিতে মাতে।
অত কী সব ভাবছো তুমি দুগালে হাত দিয়ে
আঁকতে পারো যা বলেছি মাধুরী মাখিয়ে।
আঁকতে আঁকতে বিদায় আমার বিকেল পৌছে যাবে
তোমার খুশির চিল চিৎকার মায়ের ঘুম ভাঙাবে।


© অজিত কুমার কর