"
দাদু আমার বড় রসিক
অজিত কুমার কর
দাদু কেমন ছড়া লেখে আমার সেটা জানা
সেদিন স্কুলে শুনিয়ে দিলাম মজার দু'তিন খানা।
রিমি বলে আর একটা বল
শুনবি যদি বাড়িতে চল
দাদু নিজেই শুনিয়ে দেবে মিলবে লেবু-চানা
দিদার হাতের পায়েস পাবি, শেষে নকুলদানা।
লিখে রাখে ডায়েরিতে তাঁর বানায় সাথে সাথে
যখন দাদুর ইচ্ছে হবে, দিনে কিংবা রাতে।
পশুপাখি-ফড়িং নিয়ে
মজার শব্দে রং চড়িয়ে
হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ে শুনে সবাই যাতে
ফোকলা দাঁতে হাসবে দাদু লুটবে মজা তাতে।
সব বয়সের ছেলেমেয়ে দাদুর কাছে আসে
পাড়ার নতুন বউঝিয়েরা আড়াল থেকে হাসে।
হাসতে গিয়ে ছড়ার রসে
বাঁধানো দাঁত পড়বে খসে
দিদিমাদের বিপদ ভারী তাই আসে না পাশে
মেজাজটা বেশ ফুরফুরে হয় মুক্তা-হাসি হাসে।
লেখা হলেই শোনার জন্য আমারই ডাক পড়ে
আমি হলাম প্রথম শ্রোতা শুনি কোলেই চড়ে।
দু'হাত দিয়ে ধরবে কষে
ভিজবো আমি ছড়ার রসে
অবাক হয়ে ভাবতে থাকি কেমনে ছড়া গড়ে
শিল্পী যেমন কাদা লাগায় কাঠামোর গা'য় খড়ে।