. দেখি বরষার রূপ
অজিত কুমার কর
রোজকার মতো আজ নয়
কোথা গেল ঝকঝকে নীল ক্যানভাস
এ নয় ঊষার পরিচয়
কেন রবি মুখ ঢেকে রয়।
কোথা থেকে এলো ধেয়ে কালো মেঘে গেল ছেয়ে
বরষা নামিবে বুঝি আজ
বাতাসের বাড়ে বেগ বারি হয়ে ঝরে মেঘ
সচকিত ক’রে পড়ে বাজ।
প্রভাত-রবির মুখ ঢেকে দিল রাশি দুখ
চারিদিকে ঘনায় আঁধার
কাজলি ধবলী ডাকে অপলকে চেয়ে থাকে
পথ নাই বাহিরে যাবার।
মাঠের সবুজ ঘাস খেলে পরে মেটে আশ
আজ শুধু আঁটিকয় খড়
কখন কে দেবে খেতে মা জননী আছে মেতে
ছড়া পড়ে খুকু গড়গড়।
দাদা ডাকে দোর খোলো কচুপাতা ছাতা হ’লো
সপসপে জামা সব বই
মাথা মোছে গামছায় জামা বদলাতে যায়
ওর দিকে চেয়ে আমি রই।
থেমেছে যদিও বারি আকাশের মুখ ভারী
দেখা নাই তাই তপনের
কেঁচো করে কিলবিল ওড়ে মাছরাঙা চিল
একটানা ডাক দাদুরের।
এমন বরষা দিনে চলে কি পকোড়া বিনে
মনে আজ একরাশ খুশি
ভোলাটা গুটিয়ে লেজ শুয়ে আছে নেই তেজ
মিউ মিউ ডেকে চলে পুষি।
কদমকেশর ঝরে আমারে আকুল করে
আমোদিত হ’লো তনুমন
টুনটুনি স্নান সারে ডানা মেলে বারে বারে
একা নয় ওরা দুইজন।
হারাতে যে মন চায় প্রজাপতি চলে আয়
ফুলে ফুলে উড়ি দুইজনে
বকুল মাধবী বলে এসো বস ফুলদলে
কাকলিতে মাতি এই ক্ষণে।
সকলের অগোচরে দোতলায় একা ঘরে
চেয়ে দেখি প্রকৃতির রূপ
সবুজের হাতছানি সুরভি আতর আনি
মাখি গায়ে একদম চুপ।
© অজিত কুমার কর