*              দীপ্তিময় বিদ্যাসাগর
                 অজিত কুমার কর


      সূর্যসম দীপ্তি তোমার রাখলে পরিচয়
     পচনধরা এই সমাজের রুখলে অবক্ষয়।
               ক্ষণজন্মা মানব তুমি
             ধন্য এ দেশ, ভারতভূমি
     সকল বাধা তুচ্ছ করে ছুটল বিজয়রথ
   মাড়িয়ে গেলে দৃপ্তপদে কাঁটায়ভরা পথ।


   চিত্ত তোমার কোমল কঠোর বুদ্ধি ক্ষুরধার
   হার মেনেছে তোমার কাছে বিঘ্ন বারংবার।
             কুসংস্কারে পূর্ণ সমাজ
              দূরীকরণ দুরূহ কাজ
   তোমার প্রখর প্রদীপ্তিতে আঁধার হলো দূর
    ভারতবাসীর গর্ব তুমি আর এক কোহিনুর।


   সারাজীবন সাথি তোমার মায়ের আশীর্বাদ
   দীন দরিদ্র আর্তজনের মিটিয়ে দিলে সাধ।
             বালবিধবার কী দুর্দশা
             কুসংস্কারের নিঠুর কশা
তাদের দুঃখ করলে মোচন এ যে মহান কাজ
    আবার তাদের অঙ্গে ওঠে নববধূর সাজ।


  রিক্ত ভুবন ভরিয়ে দিলে, ভুলিয়ে দিলে শোক
   তাদের মুখে ফুটল হাসি উজল শত চোখ।
             কঠোর হাতে দুষ্ট দমন
              সব্যসাচী পারে এমন
      হৃদয়ভরা অপার স্নেহে সঠিক সমাধান
   তোমার হাতেই পুনরুদ্ধার নারীজাতির মান।


  অমন মানুষ খুবই বিরল দেশি পোশাক গা-য়
     দেশি কারিগরের চটি পরতে তুমি পা-য়।
                ভূলুণ্ঠিত শ্বেতের গর্ব
             ওই পাদুকাই করলো খর্ব
    ও'টি রাখার জন্য আছে হৃদয় সিংহাসন
      উপস্থিতি ভয় ধরাবে, বিক্রান্ত শমন।


  দামোদরের জলেও আগুন, সে কী ভয়ঙ্কর!
      জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হলো ভিনদেশি বর্বর।
               দয়ার সাগর অদ্বিতীয়
               কর্মনীতি তাঁর স্বকীয়
    নিত্যদিনই স্মরণ করি জোগায় মনে বল
   প্রভাত রবির মতোই স্নিগ্ধ, প্রদীপ্ত উজ্জ্বল।