দুঃখসুখের দোলায় দোলে


কমিয়ে দিলে দহনজ্বালা স্নিগ্ধ শীতল পরশ দিয়ে
ভাবনা ছিল আসবে কবে বৈশাখী কে সঙ্গে নিয়ে।
কাজল মেঘে ঢাকলে আকাশ ময়ূর নাচে পেখম তুলে
মনোহরণ দৃশ্য দেখে সকল ব্যথা যাই যে ভুলে।


তোমায় দেখে মুখ লুকালো আঁচল তলে তপ্ত রবি
মন বলে সে হারিয়ে গেছে বদলে গেল দিনের ছবি।
বাদলধারা পড়ছে ঝরে আকাশজুড়ে বিজলি হাসে
খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে পুকুর-ডোবা-পাতায়-ঘাসে।


প্রাণের সাড়া চতুর্দিকে দাদুর মাতে মহোৎসবে
ঘাসের ভিতর ঝিল্লি মুখর কখন ওরা শান্ত হবে।
কাগজ কেটে নৌকা গড়ে ভাসায় শিশু উঠোন-জলে
কোনটা ডোবে, কোনটা আবার গর্বভরে এগিয়ে চলে।


কেউ খুঁজে পায় খুশির আমেজ কারো মনে দুঃখের রাশি
কারো ঘরে অঢেল খাবার কেউ বলে বান সর্বনাশী।
ঘুম টুটে যায় রাত্রে ওদের জল থই থই উঠোন বাড়ি
বন্ধ হবে কখন ধারা ভাসছে জলে ভাতের হাঁড়ি।


জীবন কাটে এমনিভাবে দুঃখ সুখের দোলায় ভেসে
আকাশপানে তাকিয়ে থাকে দাঁড়াবে কে সামনে এসে।
কেউ বোঝে না কারুর ব্যথা মমত্ববোধ নেইকো প্রাণে
অমূল্য তাঁর আপন জীবন বধির তখন দুইটি কানে।


© অজিত কুমার কর