ঝঞ্ঝা তুমি ওড়ালে আজ আমার কুঁড়েঘর
আপন বলে কেউই নেই সবাই বুঝি পর!
এক পলকে করুণ দশা কী দিয়ে ঘর ঢাকি
এমনি নাচ নাচলে তুমি এখন কোথা থাকি।


খেতের কাজে ব্যস্ত ছিল ছোট্টো ছেলে চুনি
ফিরবে ওরা কেমন করে মনে প্রমাদ গুনি।
সঙ্গে ছিল চুনির বাবা দাঁড়ায় তরুতলে
চোখধাঁধানো বজ্রপাতে দু’জন গেল জ্বলে।


এমনি করে কত যে প্রাণ নিচ্ছ তুমি কেড়ে
ঘরে ফেরার রাস্তা কোথা হঠাৎ আসো তেড়ে।
পড়শি সব দুখে কাতর কাকে প্রবোধ দেবে
অভাগিনির জ্ঞান ফেরে না আমরা মরি ভেবে।


কোমায় ছিল হাসপাতালে স্বর্গে দিল পাড়ি
কেন এমন হত্যালীলা শ্মশান হ’ল বাড়ি।