একুশ যেন অনির্বাণ বহ্নিশিখা


হাতেখড়ির আগেই আমায় মা শেখাল ছড়া
বর্ণগুলো অচেনা সব তবু গড়গড় পড়া।
কেবলমাত্র ছবি দেখেই তখন বলতে পারি
মা জানাল অ-আ-ক-খ, শানিত তরবারি।


শিক্ষাজীবন শুরু আমার বর্ণপরিচয়ে
মাতৃভাষায় প্রকাশ করি বক্তব্য নির্ভয়ে।
বর্ণ দিয়ে শব্দ গড়ে ভরাই খাতার পাতা
মাতৃভাষার শক্তি অসীম আমার পরিত্রাতা।


যে ভাষাতে বলছ লিখছ সেটাই বাংলা ভাষা
এটাই তোমার মাতৃভাষা মেটাবে প্রত্যাশা।
অত কী আর বুঝতে পারি মিলাল মা'র হাসি
ফেব্রুয়ারি-একুশ সেদিন, আমরা বাংলাভাষী।


একুশ এলে ফোটে পলাশ, কৃষ্ণচূড়াও ফোটে
শহিদডাঙায় হাজির হলাম, বিষণ্নতা ঠোঁটে।
একুশ যেন শৌর্যতোরণ, একুশ বহ্নিশিখা
ইতিহাসের পাতায় একুশ শহিদরক্তে লিখা।


শিমুলরাঙা নতুন সূর্য উঠল পূর্বদিকে
শহিদ-রক্ত, লাল গোলাপের রং হবে না ফিকে।
যতই আসুক ঝঞ্ঝা তুফান ভাসবে একুশ-তরি
বিপ্লবীদের ওই অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরি।


#আজিত কুমার কর