হেমন্তের অবদান
অজিত কুমার কর


বসে আছে গঙ্গাফড়িং কচিধানের শীষে
শীতল সমীরণে ডাহুক মেতেছে বন্দিশে।
ঢেউ খেলে যায় ধানের ক্ষেতে, চাষিভাইয়ের বুকে
আশানুরূপ ফলন হলে কাটবে বছর সুখে।


শীত পড়েনি, গর্মিও নেই এখন এ বাংলাতে
ভোরের দিকে শিরশিরানি জাগে কেবল গা'তে।
নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে গেল কদিন কেটে
ভারী হালকা বৃষ্টিপাতে আনন্দ যায় ঘেঁটে।


দিনের ভাগে অল্প সময় রাত্রি এখন বড়
শীতঘুমে যায় সরীসৃপরা ভয়েই জড়সড়।
সমান হবে ডিসেম্বরে, বাইশ তারিখ হলে
উত্তরায়ণ তখন শুরু ছ'মাস ধরে চলে।


বছরজুড়ে পূজাপার্বণ আনন্দে রয় মেতে
এই সময়ে তাই বাঙালি চায় না কোথাও যেতে।
নবান্নতে দারুন মজা পায়েস পুলিপিঠে
নলেনগুড়ও মিলবে এবার বেশ মজাদার মিঠে।


রসের হাঁড়ি মাথায় নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘোরে
'জিরেনকাটের রস কে খাবে', শিউলী হাঁকে জোরে।
গেলাস নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ছলকে ওঠে হাসি
ছোটো বড় সবাই হাজির দাঁড়ায় পাশাপাশি।


© অজিত কুমার কর