নীলের চেয়েও অধিক নীল শরৎকালের নীল আকাশ
তারই বুকে মেঘের পাহাড় সফেদ যেমন মাঠের কাশ।
মুহুর্মুহু রূপ বদলায় ভেসে ওঠে বাঘের মুখ
কখন আবার সিংহশাবক দেখেও পাই পরম সুখ।


আকাশ যেন সমুদ্র এক উথালপাতাল উঠলো ঢেউ
নৌকা জাহাজ কী নেই সেথায় আড়াল থেকে ভাসায় কেউ।
একটু সুযোগ পেলেই রবি আলোয় ভরায় এই ভুবন
ঝলমলানি গাছের পাতা সোহাগটুকু পায় তখন।


মেঘবালিকার লীলাখেলা ওসব বুঝি সাধ্য কি
কাজল কালো রূপ ধরে সে বিজলি আলোর চকমকি।
মত্ত ষাঁড়ের মতোই তখন ছুটবে বেগে ওই পথে
প্রচণ্ড এক আওয়াজ তুলে মাতবে তখন দ্বৈরথে।


পথের পথিক ভিজতে থাকে ভিজতে থকে যানবাহন
পরক্ষণেই ভোগান্তি শেষ সাঙ্গ হবে তার নাচন।
ব্যাগের ভিতর মারছে উঁকি রঙিন শাড়ি ফ্রক টি-শার্ট
মা-বোনেরা আবার ছোটে থেমেই গেছে বারির ছাট।


আশার বাণী জুগিয়ে বলে ঝরছি বলে ক’রছ রাগ
দহনজ্বালা কমিয়ে দিয়ে লাগিয়ে দিলাম খুশির ফাগ।
মন রাঙানোর উপকরণ  শেফালিকার মধুর বাস
পথের পাশে ওই দেখনা নাচের তালে দুলছে কাশ।


শরৎ আসে শরৎ ফুরোয়  সবার হৃদয় দুলিয়ে যায়
সুখের পরশ বিলিয়ে দেওয়া এটা যে ভাই সবার দায়।
আহ্লাদীরা হাসবে  যেমন তেমনি হাসুক সব শিশু
আসবে তবেই খুশির জোয়ার হাসবে দেবী দেব জিশু।