জোড়াসাঁকোয় জন্ম নিলেন বোশেখ মাসে ছোট্টো রবি
জানত না কেউ ওই শিশুটিই ভবিষ্যতের বিশ্বকবি।
সেদিন যখন গভীর রাতে শঙ্খ জোড়া উঠল বেজে
জানান দিল সে এসেছে কান্না জুড়ে দারুণ তেজে।


অধীনতার শিকল পায়ে ভারতমাতার দুঃখ ভারী
ভাঙবে যে জন পায়ের বেড়ি জন্ম হ’লো জ্যৈষ্ঠে তারই।
সে যেন এক অগ্নিশিখা আলোর ছটায় ভুবন আলো
শপথ নিলেন আপন মনে দেশ ও দশের ক’রবে ভালো।


দুখুর হাতে ‘অগ্নিবীণা’ রবির হাতে ‘গীতাঞ্জলি’
ক’রল সবার দুঃখমোচন দুই লেখনী সুকৌশলী।
ওদের বিভায় টুটল আঁধার আকাশজুড়ে রঙিন হাসি
বিস্ময়ে সব দেখল চেয়ে মন্ত্রমুগ্ধ ভারতবাসী।


পড়ল ভেঙে লৌহকপাট ভারতমাতার জয়ধ্বনি
ডাক দিয়েছে বিদ্রোহী বীর সে যে সবার নয়নমণি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে পারাপারের ওরাই সাঁকো
উধাও কাঁটাতারের বেড়া মুক্তকণ্ঠে এবার ডাকো।


হৃদয় জুড়ে কাজি নজরুল জীবনসাথি রবীন্দ্রনাথ
বাইছে ওরা দুজন মিলে নাও কখনও হবে না কাত।
যতই উঠুক সুনামি ঢেউ ভিড়বে তরি পদ্মাঘাটে
ভাটিয়ালি গানের সুরে মহানন্দে সময় কাটে।


ওরা দুজন সূর্য শশী ভুবন আলোয় উদ্ভাসিত
এখনও দেয় তেমনি আলো যেমন করে পূর্বে দিত।
ওদের ছাড়া দিন কাটে না সুরের ছোঁয়ায় হৃদয় ভরে
কণ্ঠ মিলায় জগৎবাসী চিত্তে খুশির ঝর্না ঝরে।