শরতেও আকাশের মুখ ভারী
ভেসে আসে মেঘের গুরু রব
মাঠ ডুবিয়ে সাধ মেটেনি, বঙ্গে যে উৎসব।
উমার আসার সময় হলো পুত্র কন্যা নিয়ে
পুজোটা কি করবি পণ্ড বন্যা এনে দিয়ে?
একটা কথা বলছি তোমায় শোনো
তুলোর মতো মেঘকে ডেকে দাও
এগিয়ে এসো, শিউলি-শোভা দেখতে যদি চাও
পরিয়ে দেবো তোমার গলে পদ্মফুলের মালা;
পথের পাশে দিঘির পাড়ে ছলকে পড়ে হাসি
হিমেল বায়ে দোলায় মাথা কেমন কাশের রাশি।


একটু যদি সদয় না হও তুমি
আলোর বেণু বাজবে কেমন করে
দেবীপক্ষের সূচনাতে মহালয়ার ভোরে!
কাজের তাড়ায় সারা বছর যেমন-তেমন কাটে
কারখানা-মল স্কুলকলেজে খেতখামারে মাঠে।
কীভাবে যে বোঝাই তোমায় বল
লক্ষ্মীসোনা আর দিয়ো না বাধা
ঝলমলে হোক পুজোর ক’দিন তাইতো এমন সাধা;
উঠবে গায়ে নতুন জামা সবার কাছে পাওয়া
ঠাকুরদেখা খাওয়া-দাওয়া  হয় না যেন মাটি
তিন-চার মাস কত লোকের চলছে খাটাখাটি।