মাঠ থেকে আজ ফিরতে দেরি নিরালা প্রান্তর
ভূতের ভয়ে আত্মাগুড়ুম কেমনে ফিরি ঘর।
মাঠের পরে বিশাল দিঘি পাশে কবরস্থান
ওখান দিয়েই রাস্তা আমার ধুকুসপুকুস প্রাণ।


তৃতীয়ার চাঁদ অস্তগামী ঢাকে হিজল গাছ
শব্দ কীসের! এটা তো কার ঘুঙুর পায়ে নাচ।
এখানে তো ঘরবাড়ি নেই, নাকি শোনার ভুল
ওই তো আবার যাচ্ছে শোনা, খাড়া গায়ের চুল।


সাত বছরের নাজনা খাতুন নৃত্যে পটু খুব
দু’চার দিনের প্রবল জ্বরে হঠাৎ দিল ডুব।
তার কবরে মাটি দিলাম, ব্যথায় ভরা মন
একটিমাত্র কন্যাশিশু, বড় সাধের ধন।


ওরই সাথে পড়তে যেত কাকুর মেয়ে তাজ
দু’জনে খুব বন্ধু ছিল হারিয়ে গেল আজ।
ওরই কথা স্মরণ করে পেরোই বাকি পথ
বেহেস্তে ওর ডাক পড়েছে, আল্লা পাঠায় রথ।


ভয় পেলে ভূত চেপে ধরে, সাহসীদের জয়
ওরাই তখন দূরে সরে, মানুষকে পায় ভয়।
ভয় পেলে ওই কবরস্থানেই কাটত সারারাত
ভেবে ভেবে মা জননী ক’রতো অশ্রুপাত।