সেদিন ছিল সরস্বতী পূজা  
পৌঁছে গেছি এক্কেবারে ভোরে
গায়ে আমার বাসন্তী পাঞ্জাবি                      
তুলি হাজির হলুদ শাড়ি পরে।
     শিশিরভেজা রংবেরঙের কলি
     গুনগুনিয়ে উড়ছে কত অলি
সামনে দেবী, চোখ ফিরিয়ে আমি
দেখছি ওকে সবার অগোচরে।


আয়োজনে ব্যস্ত ছেলেমেয়ে
অতনু স্যার করছে তদারকি
সামনে রাখি বেলপাতা-ফুল-ঘটি
দুষ্টুমিতে স্যারের বকাবকি।
       খুনসুটি কী বন্ধ হতে পারে
       একটু-আধটু হচ্ছে বারেবারে
মন্টু বলে, ধমক খাবি স্যারের                    
ঠিক তখনই প্রথম চোখাচোখি।


পুরুতঠাকুর করছে কেন দেরি
সাড়ে ন’টায় আসার কথা ছিল
অন্য কোথাও এখন মন্ত্র পাঠে
দেরি হবে, নবীন খবর দিল।
       প্রস্তুতি  শেষ, কিছুই তো নেই বাকি
       পেটের খিদেয় কেমন করে থাকি
সকাল থেকে শুধু জলেই আছি
কতখানি সময় কেড়ে নিল।


হোমের পরে শুরু পুষ্পাঞ্জলি
করজোড়ে মন্ত্র সবার মুখে
একটু পরে হর্ষ যাবে টুটে
সকাল থেকে ছিলেম বড়ই সুখে।
       ছাত্রছাত্রী ফিরছে যে যার বাড়ি
       শুধু আমার নেইকো তাড়াতাড়ি
যতই দেখি আশ মেটে না মোটে
ধুকপুকুনি চলছে আমার বুকে।