*                        
                  হাঙরের বাসনা
                অজিত কুমার কর


    হাঙর বলে করবো বিয়ে মৎস্যকন্যা চাই
কুমির বলে করবো জোগাড় ভাবনা কিছু নাই।
            কুমির গেল রাজার কাছে
             সুন্দরী তিন কন্যা আছে
কন্যারা কেউ হয়না রাজি, ধারালো দাঁত, তাই।


             অকুকু (অপূর্ব কুমার কুণ্ডু)
                মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।


                       অকুক
                   এটিও মন্তব্য।


                       অকুকু
    এতো ভালো লাগল, কী লিখি বলুন তো?


                       অকুক
হৃদয় জুড়ে শব্দ ঠাসা   মিলেই যাবে জবাব খাসা।


                       অকুকু
   কিছু ভালোলাগা জোগায় না মুখে কথা,
        সব কথা বলে মুখরিত নীরবতা ।


                       অকুক
    মৌনতা বা চাউনিটুকু অনেক কিছু বলে
     সুধীজনের নীরবতা এমনই ঝলমলে।


                      অকুকু
       সুধীজন হবো এমন স্পর্ধা নেই,  
     সাধারণ হয়ে থাকি যেন এখানেই ।


                      অকুক
সূর্যের মতো তব দীপ্তি কিরণেই অফুরান তৃপ্তি।
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি হররোজ মনোরম সৃষ্টি।


                      অকুকু
      মাটির প্রদীপ সূর্য হতে কি পারে?                                        
       সামান্য আলো ছড়াই অন্ধকারে ।


                      অকুক
   প্রদীপ জানে না কতটা সে আলো দেয়
       কিন্তু ধরার মানুষ তা বুঝে নেয়।
       নীশিথে যখন সূর্য থাকে না আর
       প্রদীপের শিখা কাটায় অন্ধকার।


                     অকুকু
     মাটির প্রদীপ, তবু পাই ভালোবাসা                          
   এর বেশি আর করি না তো কিছু আশা।
    সে ভালোবাসায় আমি যে ধন্য আজ,
    চোখ জুড়ে আঁকে স্বপ্নের কারুকাজ ।


                    অকুক
   কী চমৎকার! দীপশিখার উৎসারিত আলো
ওই আলোতে ভুবন আলো, ঢালো, আরো ঢালো।
ভালোবাসার কাঙাল কে নয় ক'জন সেটুকু পায়
  ওটা পেলেই জীবন ধন্য সবাই তো তাই চায়।


                     অকুকু
ভালবাসা পাওয়া দুর্লভ জানি তবু হাত পেতে আছি,
পরম এ পাওয়া,সম্পদ হোক থাকি যেন কাছাকাছি।
    ভালবাসা জানি দূরের বন্ধু অন্তরে দেয় ধরা,
  গভীর গোপন পরম সত্য প্রাণের আলোয় গড়া।


                       অকুক
চাইতে হয় না ভালোবাসা প্রেম এসে দেয় নিজে ধরা
  অধরা মাধুরী নীল পারিজাত হৃদয় আকুল করা।
  অর্থ চাই না, চাই না বিলাস, চাই শুধু ভালোবাসা
   স্বর্গ তখন নাগালে আমার পূরে যায় যত আশা।


                       অকুকু
ভালবাসা জানি স্নিগ্ধ আলোয় ঝরা শেফালির মতো,
   কুড়োই দুহাতে গন্ধটা তার পাই যেন অন্ততঃ ।
আমি জানি সেই শেফালি গন্ধ আমারই তা সঞ্চয়,
ভাবি মনে মনে এই ভালবাসা রূপকথা যেন  হয়।


                       অকুক
  রূপকথা নয় অতি বাস্তব ফুটেছে শেফালি কত
পাঠিয়ে দিলাম সুগন্ধ তার যত চাও দেবো তত।
মাধবীর সাথে মিতালি আমার সর্বদা থাকে পাশে
যতটুকু চাও ততটুকু আমি দিতে পারি অনয়াসে।


                        অকুকু
ভোরের শিশিরে প্রথম আলোর স্নিগ্ধতা নেমে আসে,
অমলিন ছবি ঝলমল করে পাতায় পাতায় ঘাসে।
   অমলিন সেই ছবিটাই যেন অন্তর জুড়ে থাকে,
ভালবাসা যেন সামনে দাঁড়ায় পথ হারানোর বাঁকে।


                         অকুক
রাতের শিশির জমে থাকে ঘাসে সবিতা জোগায় আলো
ঝলকে ঝলকে খুশি সে ছড়ায় কার না লাগে তা ভালো।
এই আশাটুকূ পোষে শুধু মনে আমরা সকলে জানি
আর যত কথা রাখে সে গোপনে করে না সে কানাকানি।


                       অকুকু
           বিষয়টিতে এবার টানি ইতি,
        পাঠিয়ে দিলাম শুভেচ্ছা ও প্রীতি ।


                       অকুক
           শুরু হলে সাঙ্গ করাই রীতি
          গাওয়া হলো দ্বৈত রম্যগীতি।
         অটুট থাকুক ঐক্য ও সম্প্রীতি।
                ###########