*
কন্যারত্নের পিতা
অজিত কুমার কর
মুখিয়ে থাকে সারাটি ক্ষণ কখন এসে ডাকে
কান পেতে রয় বাহির পানে কখন আসে সে ঠিক জানে
মন বসে না পড়াতে তাঁর
'খোকি কোথা', ডাকের বাহার
এলেই দেবে পেস্তা বাদাম আদর ক'রে তাঁকে
মুখিয়ে থাকে সারাটি ক্ষণ কখন এসে ডাকে।
মিনির মতো তাঁরও যে এক ছোট্টো মেয়ে আছে
কচি হাতের কাগজে ছাপ মুখটি ভাসে বড় নিষ্পাপ
একে দেখে আনন্দ পায়
এ' পথ দিয়ে প্রত্যহ যায়
ওতেই মেলে অপার তৃপ্তি নাইবা রইলো কাছে
মিনির মতো তাঁরও যে এক ছোট্টো মেয়ে আছে।
পিতার বুকে লুকিয়ে থাকে স্নেহের ফল্গুধারা
বাহির দেখে যায় না বোঝা ঠাহর করা নয়কো সোজা
মেয়ের মুখটি খুঁজে বেড়ায়
এদিক-ওদিক কেন তাকায়
বুঝবে তাঁরা কেমন করে নয়কো পিতা যারা,
পিতার বুকে লুকিয়ে থাকে স্নেহের ফল্গুধারা।
মিনির বাবা বুঝেছিল রহমতের ব্যথা
এখন তাঁরা মেয়ের পিতা অন্য কেহ বুঝবে কি তা
যাও রহমত কাবুলে যাও
যৎসামান্য এই তুমি নাও
আজকে খুবই পড়ছে মনে তোমার মেয়ের কথা
মিনির বাবা বুঝেছিল রহমতের ব্যথা।