নবরত্নের অন্যতম মহাত্মা বীরবল
অসামান্য বিদ্যাবুদ্ধি দীপ্তিতে ঝলমল।
ওকে পেয়ে বেজায় খুশি বাদশাহ আকবর
যত রকম জটিল প্রশ্নের নিমেষে উত্তর।


রাজ্যেরই্ এক কৃতি ভাস্কর দিলেন উপহার
একই রকম তিনটি মূর্তি তফাৎ বোঝা ভার।
কোনটি সেরা বাছবে কে বা সমস্যা জটিল
সেদিন রাজার সভাকক্ষে স্থান নেই এক তিল।


শাহেনশাহের অসীম আস্থা বীরবলের 'পর
ধীরে ধীরে প্রবেশ সভায়, প্রজার সমাদর।
ভালো করে পর্যবেক্ষণ একের পরে এক
বজ্রকঠিন সমস্যার জট খুলেছেন অনেক।


তিন পুতুলের মুখে ফুটো দুটো কানেও তাই
দেহের গঠন একই রকম কোথাও অমিল নাই।
এই সমস্যার সমাধানে তারের প্রয়োজন
আজ্ঞাবহ এনে দিলেন তৎক্ষণাৎ তেমন।


প্রথম স্ট্যাচুর কানের সাথে কানের যোগাযোগ
দ্বিতীয়টির কানের সাথে মুখেরই সংযোগ।
তৃতীয়টি অন্যরকম পেটে গিয়েই শেষ
বেরুবার সব রাস্তা বন্ধ হাততালি অশেষ।


তিনটি পুতুল তিন পারিষদ যদি এমন হয়
প্রথম জনের গা-ছাড়া ভাব এ তাঁর ব্যথা নয়।
দ্বিতীয় জন গোপন কথা করে দেয় প্রকাশ
তৃতীয়জন গোপন রাখে, আস্থাভাজন দাস।


প্রশংসাতে ভরিয়ে দিল রাজ্যের জনগণ
কীর্তি দেখে বিগলিত শাহেনশাহের মন।
রত্নরাজি দিলেন হাতে সমক্ষে সবার
তুমুল হর্ষধ্বনি তখন জ্ঞানীর জয়জয়কার।