ওই বাঁশিতেই সঁপেছে মন একাগ্রতায় শ্রীরাধা
বাঁশির সুরে মন উচাটন বাঁশিই সরায় সব বাধা।
রাধাকৃষ্ণের মহামিলন সাক্ষী ব্রজের মৃত্তিকা
একই বৃন্তে দুটি কুসুম অন্তরঙ্গ নীল-সাদা।


।।।।।


সঙ্গ দেবে আমায় যে'জন কাটাব কাল হাত ধরে
উচ্চ নীচু বিবেচ্য নয় ভালোবাসা অন্তরে।
মিশে যাব এই মাটিতেই প্রেমসুধারস দেয় মাটি
যে ক'টা দিন রইব ধরায় করব সিনান নির্ঝরে।


।।।।।


ডাক শুনে কি স্থির থাকা যায় গেলাস হাতে জোরসে দৌড়
মা বলে থাম, দাম নিয়ে যা, সবুর বুঝি সময় না তোর?
বাধ্য হয়ে থামতে হলো যদি শিউলি পালিয়ে যায়
আর ধরে কে পৌঁছে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলছি জোর।


।।।।।


ফুলের সুবাস যে যখন পায় বুঝতে পারে ফুলের গুণ
কোথায় গেলে মিলবে সে ফুল নিভবে তবে এ আগুন।
তার ঠিকানা কে জানাবে সে'জন্য চাই সৎ-গুরু
তিনি তখন দেবেন দিশা কোথায় ভ্রমরা গুনগুন।


।।।।।


হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে মাঠের শেষে নীলিমায়
পাখনা পেলে উড়াল দিতাম গোধূলির রং মেখে গা'য়।
পারিজাতের সৌরভে মন উঠত রেখে ঠিক তখন
দেখতে পেতাম নৃত্যকলা নিসর্গীয় বাগিচায়।


।।।।।


থাক বা না থাক ভয় তো লাগে একা যখন অন্ধকারে
কী জানি কী দেখব ভেবে পিছু তাকাই বারেবারে।
যদি শুনি শব্দ কোনও ডাইনে বাঁয়ে ঝোপের আড়ে
ভয়ে তখন আত্মাগুড়ুম মাথাটা কী রইবে ঘাড়ে!


© অজিত কুমার কর