ভূতপেত্নী ভালোবাসে সত্যি তুমি ভাগ্যবান
দেখার জন্য শ্মশানে যাই খুলে রাখি চোখ ও কান।
অমাবস্যা পূর্ণিমাতে কিংবা যখন বাঁকা চাঁদ
কোনওদিনও দেয়নি দেখা ভাবছি এবার পাতব ফাঁদ।


।।।।।।।


পাখির শিসে ঘুম ভেঙে যায় দিনের শুরু তৎক্ষণাৎ
ও যা বলে সেটাই লিখি লেখনীটি চালায় হাত।
মন ভরলে পেটও ভরে পাখির সাথেই দিই উড়াল
নামতে কী আর ইচ্ছে করে পাগল বলে দেয় আঘাত।


।।।।।।।


অ-আ-ক-খ শিখছি এখন কেমন করে হই গুরু!
হাতেখড়ি এইতো সেদিন বর্ণ শেখার সেই শুরু।
গুরু হওয়া কঠিন ব্যাপার
শিষ্য হয়েই জীবন কাবার
ভাবতে গেলেই শিউরে উঠি কুঁচকে ওঠে দুই ভুরু।


।।।।।।।


খুশির রেণু উড়িয়ে দিলে আমরা নিলেন তা মেখে
দর্শনে চোখ জুড়িয়ে গেল ভাসছ দুজন ডাল-লেকে।
সিংহাসনে পার্বতী আজ
দক্ষিণে তাঁর রাজাধিরাজ
কুহু-কুহু কুহু-কুহু মনবিহঙ্গ যায় ডেকে।


।।।।।।।।।


আমার ঠিকানা অনেকের জানা মনের ঠিকানা শুধু একজন
তিনি নিরাকার নাকি সাকার দর্শন তাঁর পাব যে কখন-
খুঁজে ফিরি তাই কোথা গেলে পাই বাসনা আমার হবে কি পূরণ?
দাও বলে দাও ওগো দয়াময় সান্ত্বনা পাবে অশান্ত মন।


।।।।।।।।


পূর্ণতা পেয়েছি আমি দিয়েছে পৃথিবী
কত আলো কত ফুল সুন্দর আকাশ
নিয়েছি হদয়ভরে নির্মল বাতাস
আমার কিছুই নেই আমি পরজীবী।


যেতে তো হবেই জানি সবকিছু ছেড়ে
আঁধার ঘনিয়ে আসে দিবা অবসানে
চঞ্চলতা যাবে থেমে নিশ্চয় ওখানে
বসে আছি বেলাশেষে আমি হাঁটুগেড়ে।


© অজিত কুমার কর