দুটো বউকে সামাল দেওয়া সব মরদের কম্ম নয়
কারও ভাগে কম পড়লে নামবে ভীষণ বিপর্যয়!
দুই সতীনের চুলোচুলি
মরদ তখন কাঠপুতুলি
কেউ যদি খায় ভিরমি এখন তাই আড়ালে সামনে রয়।
।।।।।
আমি হলেম রাখাল বালক গোরু চরাই মাঠে
সকাল থেকে সাঁঝ অবধি মাঠেই সময় কাটে।
বাঁশি বাজাই লক্ষ্য রাখি
উড়ে বেড়ায় এ মন পাখি
ওদের নিয়ে গোঠে ফিরি সূর্য যখন পাটে।
।।।।।।।
যোগ্য কিনা তা জানি না ফুলকলিরাই জানে
তবে আমায় ভালোবাসে ওরা মনেপ্রাণে।
ওদের ভালোবাসার জোরে আজও আছি টিকে
না হলে কি পেতাম আমি এমন পৃথিবীকে।
।।।।।।
কী বলি তুই মন দিয়ে শোন জীবন হল কর্মময়
আঁধার নামলে কাজে ভাটা শুরু যখন সূর্যোদয়।
মায়ের কথাই মেনে চলি কর্মব্যস্ত সারাক্ষণ
আহরণ আর বিতরণে রেখে চলি সমন্বয়।
।।।।।।।।
মা'র আদরে ছত্রচ্ছায়ে বেশ তো সুখেই আছি
মৌচাক মা আমি ছোট্টো নগণ্য মৌমাছি।
ন্যাওটা মায়ের আঁচল ধরি
মা-ই আমার ভ্রমণতরি
সর্বদা তাই উড়ে বেড়াই মায়ের কাছাকাছি।
।।।।।।।।
ঘোড়াঘাটায় কোথায় ঘোড়া, আসছে কানে গাধার ডাক
কোথাও যেতে ওটাই ভালো পড়লেও ফাটবে না টাক।
ঘোড়ায় চড়ে এক পা গেছে
একটা বছর খুব ভুগেছে
ঘোড়া দেখলে ভিরমি লাগে বুড়ো গাধাই বাহন থাক।
© অজিত কুমার কর