ইচ্ছে হলেই করতে পার দিনকে রাত ও রাতকে দিন
যে সাধনায় সিদ্ধি তোমার সময়সাধ্য আর কঠিন।
না পারার আর কিছুই তো নেই কার্যসিদ্ধি নিমেষে
সবিস্ময়ে হই হতবাক অবতার না আলাদিন!
।।।।।।।
বাঁধভাঙা আনন্দ যেন ভরা কোটালের জোয়ার
বর্ণনা অসাধ্য আমার দৃশ্যাবলী চমৎকার!
গুরুর হাসি দেখে অবাক শিষ্য কারন জানতে চায়
'তুই যে কী চাস, জানি আমি, বলেছে তা মা আমায়'।
।।।।।।
চন্দন ফল খাচ্ছে বানর ঘরের পাশে গাছে
পাকাকলা যেই দেখালাম দৌড়ে এল কাছে।
তিন মিনিটে করল ফিনিশ
রঙিন ঠোঁটে সহাস্যে কিস
নিপুণ হাতে এবার বানর মাথায় উকুন বাছে।
।।।।।।
প্রজাপতি হয়ে যখন স্পর্শ করি মঞ্জরি
সোহাগ মাখা আবির লাগায় আমার গা'য়ে ফুলপরি।
খুশি তখন উথলে ওঠে ওদের সাথেই গুনগুনাই
তরতর-তর এগিয়ে চলে রবির আলোয় প্রেমতরি।
।।।।।।।
রূপ দেখে তোর হইনি পাগল করেছি রে গুণ বিচার
রূপ-যৌবন ক্ষণস্থায়ী বিশ পেরোলেই রয় না আর।
রূপের আগুনে পোড়ায় শুধু প্রলেপ লাগায় মাধুর্য্য
তোর কণ্ঠে প্রেমের পরশ আচরণ ও চমৎকার!
।।।।।।।
দৃষ্টিহীনের কাছে ধরার চতুর্দিকেই অন্ধকার
কর্ণ দুটি জাগ্রত রয় মানুষ চেনার সহায় তাঁর।
স্পর্শ করে বুঝতে পারে কঠিন নাকি কোমল মন
মনের হদিস পেয়ে গেলে বেশি কিছু চায় না আর।
।।।।।।
রূপ দেখে তোর ভুলিনি রে ভুলেছি তোর গান শুনে
দশটা বছর দেখছি তোকে পরিপূর্ণ তুই গুণে।
হলোই বা তোর শ্যামলা বরন দুই নয়নে সমুদ্র
ওখানেই তো কাটছি সাঁতার চলছি ভেসে কাল গুনে।
।।।।।।।
ফুল ফুটলে কাছে গিয়ে দেখি নয়নভরে রোজ
প্রজাপতি ভ্রমর কেমন ক্ষণে ক্ষণে নিচ্ছে খোঁজ। ।
বিহ্বল হয়ে ওদের দেখি যখন করে আলিঙ্গন
সকাল থেকে সাঁঝ অবধি মৌমাছিরা সারছে ভোজ।
© অজিত কুমার কর