সবাই দেবে এমন আশা করাই অবান্তর!
কে কী দিল দেখার জন্য আছেন তো ঈশ্বর।
এটা জানি একটু দিলে পড়বে নাকো টান
মনেপ্রাণে সর্বদা চাই বাঁচুক সবার প্রাণ।


।।।।।।


ফুলের শোভায় বিমোহিত বিস্ময়ে হই হতবাক
গাছের ভিতর কী রহস্য বলার জন্য দেয় না ডাক!
সুবিন্যস্ত পাপড়িগুলোয় প্রাকৃতি-মা'র তুলির টান
কত নিষ্ঠা কত আদর অঙ্গরাগে রয় না ফাঁক।


।।।।।।।


আমরা দু'জন আসিনি একসাথে
যেতেও হবে আগে কিংবা পরে
কাটবে প্রহর তখন প্রতীক্ষাতে
বাঁধব বাসা পারবে না আটকাতে।


বিদেহীদের চাই না তো আস্তানা
মরাল হয়ে করব কেলি জলে
কাটব সাঁতার করবে না কেউ মানা
উড়ব পেলে প্রজাপতির ডানা।


।।।।।।।


নৌকা তোমার মাঝিও তুমি ভেড়াওনি নাও দেখেও তীর
কতদিন আর ভাসবে গাঙে করবে কখন মনস্থির।
সূর্য এখন মাঝে গগনে গনগনে বেশ এখন আঁচ
হেলে পড়লে ক্ষীণ হবে তেজ আকাশ তখন গোধূলির।


।।।।।।।।


ডুবতে চাইলে যায় না ডোবা দেয়নি আমায় অধিকার
হাবুডুবু খেয়েই ভাসি আশ্রয় পাই খড়কুটার।
কোথায় কী সব ঘটছে এখন না গিয়েও হদিস পাই
চোখ দিয়ে নয় হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারি সবিস্তার।


।।।।।।।।


আলোর পিছে আঁধার আছে ঘনায় দিবস ফুরোলে
ঘুমায় তখন হেলান দিয়ে শ্যামাঙ্গিণীর ওই কোলে।
দুঃখ সুখের লুকোচুরি চলতে থাকে নিরন্তর
ক্ষণতরে আসে আলো আবার কোথায় যায় চ'লে।


।।।।।।।।


.   জীবনসাগরে দুজন চলেছি ভেসেই
             ঢেউ এলে ডুবে যাই
              আবার উঠে দাঁড়াই
তরণি ঠেকবে কোথায় স্থান জানা নেই।


© অজিত কুমার কর