আকাশভরা পেঁজা তুলোয় নীলের উঁকিঝুঁকি
দু’চোখ যেন ধাঁধিয়ে যায় মেঘকে বলে টুকি।
ভূমণ্ডলের চিত্রপটে বদলে গেল ছবি
কালো মেঘের আড়াল থেকে যেই বেরল রবি।


এভারেস্টের শৃঙ্গ জুড়ে জমাট তুষার রাশি
সোনার মুকুট শীর্ষদেশে অপার্থিব হাসি।
নিদ্রা ভেঙে উঠল জেগে সূর্যসোনার ডাকে
না হলে কি রাঙত হৃদয় শুধাই প্রীতিশাকে।


খাঁজগুলো সব উঠল রেঙে অনন্য  বৈভবে
ভাগ্য ভালো দেখতে পেলি স্বর্ণালি শৈশবে।
প্রকৃতির এই রত্নরাজি চক্ষু জুড়ায় দেখে
রৌদ্রটুকু মুখ লুকালো বিষণ্ণতা মেখে।


রৌদ্র-মেঘের লুকোচুরি বিচিত্রতায় ভরা
দুখের পরে সুখের হাসি তাইতো মুক্তোঝরা।
দার্জিলিং-এর মাহাত্ম্য এই নেইকো দাবদাহ
সমতলে গর্মি দারুণ দুঃসহ প্রদাহ।


রাস্তাঘাটে ঘুরেও আরাম গগনচুম্বী তরু
ভিড়ভাট্টা একটুও নেই যেমন শীতল মরু।
নিজস্বীতে রইলো ধরা সাতরঙা ব্যঞ্জনা
ভবিষ্যতের রসদ এযে অমল স্মৃতিকণা।