সারাটাদিন কেমন যাবে প্রভাত-রবি দেয় আভাস
মাঠের মাটি সরস হলে তবেই হবে প্রচুর চাষ।
আত্মসম্মানবোধ ভরপুর, সুভাষ-চিত্ত দৃঢ় স্থির
ভাঙবে তবু মচকাবে না ভাবনাচিন্তা খুব গভীর।


প্রতিবাদী চরিত্র তাঁর হেনস্থাকে পায় না ভয়
কোনও অন্যায় সইবে না সে যতই নামুক বিপর্যয়।
সকল কাজে সবার আগে এটাই মহান নেতার গুণ
আহ্বানে তাঁর বাড়াল হাত উঠল ভরে বিশাল তূণ।


অধীনতার শক্ত শিকল ছিঁড়তে লাগে অগাধ বল
‘দাঁড়াও এসে আমার পাশে মুছাই মায়ের অশ্রুজল।
স্বাধীনতা আনবো আমি, শুধু একটু রক্ত চাই
ভারতমাতার কোমল কোলে এমন বীরের মিলবে ঠাঁই।


বাস্তবায়ন নয়কো সহজ খাড়াই খুবই পথ সুদূর
লড়াই করেই জিততে হবে ক’রবো নাকো কেউ কসুর।
বৃটিশ শাসক ক’রল তাঁকে তাঁরই গৃহে অন্তরীণ
নিষ্ক্রমণের উপায় খোঁজে দিবস রাতি নিদ্রাহীন।


কোথায় সুভাষ, ঘরে তো নাই কেমন করে নিষ্ক্রমণ
‘বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য’- মেধাশক্তি তার এমন!
অকুতোভয় তাঁর সেনানী ক’রল কঠিন অঙ্গীকার
‘পিছাব না এগিয়ে যাব মানব নাকো আমরা হার।’


শাসনযন্ত্র দিশাহারা সুভাষ কে পায় ভীষণ ভয়
এমন নেতা একশো একাই ছিঁড়বে শিকল সুনিশ্চয়।
দেশের ভিতর প্রধান শত্রু কেমনে আসে ক্ষমতায়
স্বার্থগৃধ্নু ভীষণ লোভী সিংহাসনই কেবল চায়।


হারায় কোথায় এমন নেতা আজও যে তাঁর নেই হদিস
বিশ্ববাসী অন্ধকারে কার ছিল সে চোখের বিষ!
নেতাজিকে যায়নি মোছা বৃথা চেষ্টা করছ সব
মনমুকুরে বিরাজমান সব বাঙালির আশৈশব।