*                     নৈসর্গিক
                 অজিত কুমার কর


পাড়ে বসে আমরা দুজন সামনে বিশাল ঝিল
পূর্ণিমা রাত তাই চার দিক জোছনায় ঝিলমিল।
             চাঁদের ছায়া সামনে দূরে
             লাগায় দোলা হৃদয়পুরে
  কাটছে সময় দ্রুতবেগে কার হাসি খিলখিল!
     মায়ের কোলে ছোট্ট শিশু হর্ষ অনাবিল।


আবছা আলোয় যায় না দেখা চাঁদপানা ওই মুখ
    রাস্তা ধরে এগিয়ে গেল দিয়ে অঢেল সুখ।
              দৃষ্টি ফিরাই দিঘির বুকে
             আনন ঢাকে চাঁদ কী সুখে!
ক্ষীণ জোছনায় দেখে নিলাম করিনি ভুল চুক
অমনি ও' তো উঠলো হেসে কী বলি উৎসুক।


মৌনতার যে শক্তি কত পেলাম নজির তার
প্রকাশ পেল আবছায়াতে কে কার অলংকার!
             এবার চাঁদের পূর্ণ প্রকাশ
              মেঘমুক্ত এখন আকাশ
    উদ্ভাসিত ওর বিভঙ্গ নারীর অহংকার
     পৃথিবীকে সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।


    ক্রমে ক্রমে ঘনায় রাতি চার দিক নির্জন
  কোন অলকায় ঘুরে বেড়ায় সবুজ দুটি মন।
          আলতো ছোঁয়ায় ফিরে তাকায়
           জ্যোৎস্নালোকে হারাতে চায়
    হৃদয়জুড়ে উথালপাতাল দুরন্ত প্লাবন
       অপার্থিব অনুভূতি নৈসর্গিক যেমন।