পুরুষতান্ত্রিক নিষ্ঠুর সমাজ অন্ধকারে ঢাকা
দুঃখভরা নারীজীবন স্তব্ধ ভাগ্যচাকা।
দৃঢ়চেতা সুব্বলক্ষ্ণী চায় সকলের ভালো
সংকল্প তাঁর, নিজহস্ত ক'রবে বিলীন কালো।


সুব্রহ্মনম–বিশালাক্ষ্মী উদার পিতামাতা
মুক্তমনা সংস্কৃতিবান দুঃখে পরিত্রাতা।
বালবিধবা কন্যারত্নের পরম হিতকারী
শিক্ষাদানে ব্রতী হলেন বাধানিষেধ ভারী।


বুদ্ধিমতী সুব্বলক্ষ্মীর মনোনিবেশ পাঠে
বেদনভরা বাল্যজীবন একাগ্রতায় কাটে।
চতুর্দিকে নিন্দা কুৎসা লক্ষ্য ধ্রুবতারা
বিচলিত একটুও নয় চিত্তে ফল্গুধারা।


স্নেহপ্রবণ সুব্বলক্ষ্মী শিক্ষাদানে রত
বিধবাদের দুঃখকষ্ট তখন ছিল কত।
জ্ঞানের আলো না জ্বালালে হবে না উন্নতি
নারীশক্তি কী না পারে কর্মে জোগায় গতি।


সারাজীবন উন্নয়ন আর অসহায়দের সেবা
অফুরন্ত ইচ্ছাশক্তি রুখবে তাঁরে কেবা।
অতি তুচ্ছ পদ্ম সম্মান এমন মহিয়সী
সমাজসবায় অগ্রগণ্যা নিষ্ঠায় গরিয়সী।


(জন্ম তামিলনাড়ুর তাঞ্জোরে ১৮৮৬ সালে।
বারো বছর বয়সে বিবাহ। কয়েক মাস পরে
স্বামীর মৃত্যু।)