পেতনিটাও ভীষণ ভীরু
অজিত কুমার কর
মা পাঠাল কনচৌকির হাট
শীতের বিকেল ফিরছি একা বাড়ি
দেখতে দেখতে সুয্যি দিল ডুব
নামলো আঁধার বড্ড তাড়াতাড়ি।
পথের পাশে শ্মশান-কবরস্থান
গা-ছমছম বক্ষ দুরুদুরু
আগেপিছে কেউ কোত্থাও নাই
ভূতের ভয়ে কাঁপন হল শুরু।
কিনেছি আজ মায়ের জন্য চপ
গরমগরম দারুণ লাগে খেতে
শালপাতার এক ঠোঙায় ছিল সব
'না দিয়ে তুই পারবি না ঘর যেতে'।
লাগলো চমক, এমন কথা শুনে
ভূতের পাল্লায় পড়েছি আজ তবে
ভূত-পেত্নী মানুষকেও ভয় পায়
এখন ওকেই ভয় দেখাতে হবে।
একটা কথা বলছি তোকে শোন
বুকপকেটে চারখানা ভূত আছে
তোকেও ধরবো আজ পাবি না পার
দেখবি যদি আয়-না আমার কাছে।
আয়নাতে ও দেখল নিজের মুখ
আঁৎকে ওঠে ভয়েই দিশাহারা
হয়ে গেছে মস্ত বড় ভুল
কাঁচুমাচু, সমস্ত লোম খাড়া!
ঘাট হয়েছে চাই না খেতে চপ
পথবাতি দিচ্ছি আমি জ্বেলে
আলোকে তো সব ভূত ভয় পায়
দাওনা ছেড়ে সাহসী বীর ছেলে।
ঠিক আছে যা আসিস যদি ফের
বেঁধে তোকে করব আমার দাসী
কানমলা খাই পেলাম পরিচয়
যাবার সময় বিকট অট্টহাসি।
ঘরে গিয়ে মা'র হাতে দিই চপ
হয়েছিলাম ভূতের সম্মুখীন
আয়নাটাকে ধরি সামনে ওর
ভয় পেয়ে ওর দশা খুব সঙ্গিন।
শুনে হাসি আর থামে না মা'র
তুই তো আমার দুঃসাহসী ছেলে
জানিস খোকা তুই তো দেবের দান
ভয় পাই না তাইতো কোথাও গেলে।
© অজিত কুমার কর