শীতের গভীর রাত, ঝকঝকে আকাশ, শুক্লা চতুর্দশী
আলোর ব্ন্যায় ভাসে কল্লোলিনী কোলকাতা।
কেউ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, কেউ বা জেগে
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে।
কারও নাকে খাবারের নল, হাতে স্যালাইন,
কারও চলছে ডায়ালিসিস, কেমো ----।
আর পাঁচটা রাতের মতো হয়তো এ রাতটাও কাটতো
নবীন ঊষার আগমনে। কিন্তু না, তা আর হল না।
হঠাৎ অক্টোপাশের শুঁড় বেয়ে নিঃশব্দে ঢোকে কালকেউটে ,
শত ফণা তুলে ছোবল মারে। নিমেষে নিথর নীলাভ উননব্বই।
রেহাই পাবার আশায় অশক্ত শরীরে  যারা
বস্তির  অকুতোভয় যুবার হাত ধরে বাইরে এল
তাদের কেউ পেল বুদবুদের জীবন, বাকিরা জীবন্মৃত।  


কত স্বপ্ন ছিল, একবারও ভাবেনি এমন পরিণতির কথা।
আহামরি ' আ-ম-রি ' আসলে একটা জতুগৃহ।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার বিভীষিকা।
আর রক্তচোষা পিশাচরা বেরোবার পথ রুদ্ধ করে
হৃদয়হীন কাপুরুষের মতো উধাও।
ওরা কি মানুষ ? শুধু অর্থ, আরো অর্থ।
তার জোরেই কি ছাড় পেয়ে যাবে?