প্রত্যাবর্তন


আমরা এখন যাদবপুরে ফ্ল্যাটবাড়িতে
ঠাম্মা দাদু দুজন থাকে কাকদাঁড়িতে।
দাদুর সাথে স্কুলে যেতাম হেঁটে হেঁটে
সময় আমার খুব আনন্দে যেত কেটে।
টিফিন বক্সে ঠাম্মা দিত চিড়েভাজা
সঙ্গে দিত তিলের নাড়ু কিংবা খাজা।
ঠাম্মা দাদু কাঁদল ভীষণ যেদিন আসি
আমারও চোখ ছলছলো উধাও হাসি।


পাড়ার যত ছেলেমেয়ে খেলার সাথি
ঠামার কোলে স্বপ্ন দেখে কাটত রাতি।
বাবা, মা ও ছোট্ট আমি নতুন ঘরে
খেলার সাথি পাব কোথায় এই শহরে?
ঠাম্মা আমার গিটার বাজায় ছড়াও লেখে
খুবই ভালো তবলা বাজায় তবুও শেখে।
গাঁয়ের বাড়ি ছেড়ে এলাম কীসের মোহে
সময় যেন কাটে না আর যাচ্ছি সহে।


একটা চিঠি ডাকে এল আমার নামে
কেমন আছি জানতে চেয়ে 'স্বর্গধামে'।  
কতখানি কষ্ট মনে জানাই কারে
বন্দিজীবন কাটছে আমার কারাগারে।
সেদিন আমি সাহস করে শুধাই মাকে
ঠাম্মা দাদু গাঁয়ে খুবই কষ্টে থাকে।
আমি যদি গায়ের স্কুলে আবার পড়ি
সেখানে মা নেই তো এত কড়াকড়ি।


চলোনা মা যাই সকলে গাঁয়ে ফিরে
কত সুন্দর গাঁয়ের বাড়ি নদীর তীরে।
আমার ব্যথা বুঝল বোধ হয় মা ও বাবা
সত্যি সত্যি ফিরে এলাম যায়নি ভাবা।
আবার আমার জায়গা হলো ঠামার কোলে
গাঁয়ে ফিরে হৃদয় আমার দোদুল দোলে।
ঠাম্মা দাদু দারুণ খুশি আমায় দেখে
আকাশও তাই উঠলো রেঙে আবির মেখে।


@ অজিত কুমার কর