রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১২৫


চারশো সাতানব্বই


আপন জীবন তুচ্ছ করে প্রাণ বাঁচালি অনেকের
দেখে আমি ভীষণ খুশি ওটাই ভিসা বেহেস্তের।
ভবিষ্যতেও এমন কাজের জন্য পাবি পুরস্কার
নে খেয়ে নে ভিজুক গলা এক পেয়ালা দিচ্ছি ফের।


চারশো আটানব্বই


যাপান আমার ভিক্ষা করে আউড়ে চলি তোমার নাম
সব থেকেও কিচ্ছুটি নেই এমন করুণ পরিণাম।
কোনওকিছুই নয় অজানা সবই নখদর্পণে
দীপ নিভলে পরম শান্তি এই কামনা ঘনশ্যাম।


চারশো নিরানব্বই


তোমার হাতে রাখি হয়ে কাটিয়ে দিতে চাই জীবন
কিন্তু যদি না দাও ধরা কেমন করে বাঁধব মন।
পথ চেয়ে দিন কাটল বছর তবুও দেখা পেলাম না
তোমার চরণতলে আমায় করে গেলাম নিবেদন।


পাঁচশো


কাজলকালো মেঘ জমেছে প্রস্ফুটিত শ্বেতকমল
চক্ষু যেন কালো ভ্রমর ওই সাগরের কোথায় তল?
শরতের মেঘ লজ্জা পেয়ে কাশের পিছে মুখ লুকায়
একটা নুড়ি ফেলে দিতেই ছলকে ওঠে সাগর-জল।


               © অজিত কুমার কর